ডাকাতি মামলায় ২০ বছর পলাতক ছিলেন জঙ্গি নুরুল

নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য নুরুল ইসলামকে টঙ্গী থেকে গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করে এটিইউ
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীতে অভিযান চালিয়ে ২০ বছরের পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টিটেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। ওই আসামির নাম নুরুল ইসলাম (৪০)। এটিইউ বলছে, নুরুল নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।

পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এটিইউ জানিয়েছে, নুরুল গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। তিনি জেএমবির বর্তমান আমির সালাউদ্দিন সালেহীনের একান্ত সহযোগী ছিলেন। মুক্তাগাছায় আলোচিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিলেন এই নুরুল।

এটিইউয়ের (গণমাধ্যম) সহকারী পুলিশ সুপার ওয়াহিদা পারভীন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেএমবির সক্রিয় সদস্য নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূচনালগ্ন থেকেই জেএমবির সঙ্গে জড়িত নুরুল, তাঁর বাবা ও ভাই। ওয়াহিদা পারভীন বলেন, ২০০৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার চেচুয়া কুড়িপাড়ায় এক এনজিওর কার্যালয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার মামলায় জেএমবির তৎকালীন শুরা সদস্য সালাউদ্দিন সালেহীনকে গ্রেপ্তার করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি ওই ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। ওই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি নুরুল। প্রায় ২০ বছর দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।

সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি গ্রেপ্তার: চট্টগ্রাম মহানগরের পাঁচলাইশ থানার নাসিরাবাদ স্টিল মিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেএমবির সক্রিয় সদস্য মো. রাসেলকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে এটিইউ। তিনি সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ছিলেন।

আজ এটিইউয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাসেল ২০০০ সাল থেকে লালমনিরহাট জেলার জেএমবির কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। তিনি সে সময় থেকেই নিয়মিতভাবে সংগঠনে চাঁদা দেওয়া ও সাংগঠনিক কাজে অর্থ ব্যয় করে আসছিলেন। ২০০৮ সালের ৯ ডিসেম্বর নীলফামারীর ডিমলা থানার দক্ষিণ খড়িবাড়ি এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক চলাকালে জেএমবির এহসার সদস্য গোলজার হোসেনকে অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ গ্রেপ্তার করলেও রাসেলসহ অন্য সহযোগীরা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ডিমলা থানায় মামলা হয়। মামলার রায়ে রাসেলসহ চারজনকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর রাসেল দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।