ছোট্ট রাহমিকে বাঁচাতে লড়াই করছেন মা-বাবা
আট বছরের ওয়াজিহা রাহমি। স্কুলে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করা আর বই পড়া—এ সবই ছিল তার প্রতিদিনের রুটিন। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এক রাতে হঠাৎ আসা জ্বর পাল্টে দেয় সবকিছু। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে জানতে পারেন, তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকোমিয়া (রক্তের ক্যানসার)।
ছোট্ট রাহমিকে নিয়ে শুরু হয় বেসরকারি চাকরিজীবী মা-বাবার লড়াই। শুরুতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করা হলেও চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সিঙ্গাপুরে ১ মার্চ শুরু হয় ৭টি চক্রে কেমোথেরাপি দেওয়ার কাজ। কিন্তু প্রথম চক্র শেষ হওয়ার আগেই মার্চের শেষের দিকে রাহমির তীব্র পেটব্যথা শুরু হয়। পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় জানা যায়, কেমোর একটি ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তার অগ্ন্যাশয় প্রদাহগ্রস্ত হয়েছে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে লিভার, ফুসফুস ও পেটে। এরপর একের পর এক সার্জারি, ড্রেনেজ ও অ্যান্টিবায়োটিক চলতে থাকে। ২৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত সে হাসপাতালের বিছানায়।
রাহমির মা মারজানা ফারহা জানান, শারীরিক জটিলতার কারণে রাহমির কেমোথেরাপি বন্ধ রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখন রাহমির একমাত্র চিকিৎসা সিএআর-টি সেল থেরাপি। তিনি জানান, রাহমির চিকিৎসায় এরই মধ্যে নিজেদের সঞ্চয়, গয়না বিক্রির টাকা ও বিভিন্ন জনের সহায়তায় খরচ হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। এখন সিএআর-টি সেল থেরাপি শুরু করতে ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বেশি প্রয়োজন। এমন অবস্থায় রাহমির জন্য সর্বস্তরের মানুষের জন্য চিকিৎসা সহায়তা চেয়েছেন রাহমির মা-বাবা।
রাহমির জন্য সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা: হিসাবের নাম সৈয়দ আবদুল মাজিদ, হিসাব নম্বর- ২৯০৫১০১০৫১০৪৪, পূবালী ব্যাংক, ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখা, মতিঝিল। বিকাশ (রেফারেন্স: রাহমি)-01882121956/01790492402। দেশের বাইরে থেকে অনুদান পাঠাতে: https://gofund.me/2e03ab2f