ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতির বিরুদ্ধে মামলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক সহসভাপতি ও তাঁর কয়েক অনুসারীর বিরুদ্ধে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা করেছেন এক ফল ব্যবসায়ী। গতকাল রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করা হয়। ঘটনা তদন্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত।

রাজধানীর সদরঘাটের ওই ব্যবসায়ীর নাম ফয়সাল হেলাল। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মহিউদ্দিন অনিসহ পাঁচ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা হলেন—সৌরভ হাওলাদার, রিপন, হাসিবুল হাসান ও হিমু। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা তিন থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগ বিষয়ে ফয়সাল হেলাল প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৬ এপ্রিল রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াই লাখ টাকা নিয়ে তিনি কিশোরী লাল জুবিলি স্কুল ও কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় অনি ও তাঁর অনুসারীরা এসে তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাঁরা মারধর করা হয়। পরে তিনি পাশের একটি হোটেলে আশ্রয় নেন। সেখানে লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন।

ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ অস্বীকার করে মহিউদ্দিন অনি প্রথম আলোকে বলেন, ভবিষ্যতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগে শীর্ষ পদপ্রার্থী। তাই বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ষড়যন্ত্র করে তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন। মামলা করা সেই ব্যবসায়ী নিজেই সদরঘাট এলাকায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ে সঙ্গে জড়িত।

মহিউদ্দিন অনির অভিযোগ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি প্রথম আলোকে বলেন, সহসভাপতি আত্মরক্ষার্থে এমন কথা বলছেন। ছাত্রলীগ চাঁদাবাজি-ছিনতাই সমর্থন করে না। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে।

এদিকে মারধরের ঘটনায় একাধিকবার সূত্রাপুর থানায় মামলার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানান ফয়সাল হেলাল। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ মামলা না নেওয়ায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম বলেন, ওই ব্যবসায়ী কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেননি। তিনি মিথ্যা কথা বলছেন।