কিস্তিতে ফ্রিজ কিনতে যা জানতে হবে

বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস কোম্পানি কিস্তিতে ফ্রিজ কেনার সুবিধা দিচ্ছেছবি: সংগৃহীত

আধুনিকতা জীবনযাপনে ফ্রিজের ব্যবহার বেড়েছে অনেক। বিলাসী পণ্য ছাপিয়ে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। কোরবানির ঈদ (ঈদুল আজহা) সামনে রেখে অনেকেরই নতুন ফ্রিজ কেনার পরিকল্পনা থাকে। কিন্তু বাজেটের ভাবনায় অনেক সময় পিছিয়ে আসতে হয়। এবার কি তাহলে আসবে না ঘরে নতুন ফ্রিজ? এমন টানাপোড়েনে যাঁরা আছেন, তাঁদের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো কিস্তিতে ফ্রিজ কেনা।

কিস্তির মাধ্যমে সাধ এবং সাধ্যের মিল হয়ে যাবে আপনার পরিবারেও। ইলেকট্রনিকস কোম্পানি কিংবা ব্যাংকের ইএমআই সুবিধায় খুব সহজে ঘরে আসবে নতুন ফ্রিজ। প্রায় সব ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান এবং ব্যাংক আপনাকে দিচ্ছে ইকুয়েটেড মান্থলি ইনস্টলমেন্ট (ইএমআই) বা সহজ মাসিক কিস্তির সুবিধা। তাই পছন্দের ব্র্যান্ডের ফ্রিজটি কিনে ফেলতে পারবেন খুব সহজেই।

কিস্তিতে ফ্রিজ কেনার সুবিধা প্রসঙ্গে কথা হয় সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের উপব্যবস্থাপক নাজমুস সাকিবের সঙ্গে। তিনি বলেন, কিস্তির মাধ্যমে খুব সহজেই ঝামেলাহীনভাবে গ্রাহক পণ্য কিনে ঘরে আনতে পারছেন। হিসাব করে চলা পরিবারের জন্য কিস্তিতে পণ্য কেনার বিষয়টি এখন বেশ স্বস্তিদায়ক। যেকোনো দামের পছন্দের ফ্রিজ কেনার ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়া যায়। ৩ মাস থেকে শুরু করে ৬ মাস ও ১২ মাসের কিস্তিতে ফ্রিজের মূল্য পরিশোধ করা যায়।

বিক্রয়কেন্দ্র বা পরিবেশকদের কাছ থেকে কিস্তিতে খুব সহজেই ফ্রিজ কেনা যায়। ক্রেতারা যেন সহজে পণ্যটি কিনতে পারেন, এ জন্য কিস্তি-সুবিধা দিচ্ছে সব ফ্রিজ উৎপাদক ও পরিবেশক। আবার ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মাসিক কিস্তি বা ইএমআই সুবিধায় পছন্দের ফ্রিজ ঘরে আনা যায়। বাজারে প্রচলিত প্রায় সব কটি নামী ব্র্যান্ডের ফ্রিজ এই সুবিধায় কেনা যায়।

কিস্তিতে ফ্রিজ কিনতে হলে পছন্দের প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে পণ্যটি দেখেশুনে তারপর কিস্তির প্রক্রিয়া অবলম্বন করে কিনতে পারেন ফ্রিজ। আর ঘরে বসে অনলাইনে কিনতে চাইলে পছন্দের ফ্রিজটির ওয়েবসাইট ভিজিট করে সহজেই ফরমাশ দিয়ে দিতে পারেন। অনলাইনে কেনাকাটায়ও ইএমআই সুবিধা পাবেন ক্রেতা।

২০টির বেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ইএমআই সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতারা। সর্বোচ্চ ৩৬ মাস পর্যন্ত ইএমআই সুবিধা পাওয়া যাবে। ২৪ মাসের মধ্যে বিনা সুদে মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন গ্রাহক। ছয় মাস পর্যন্ত সুদবিহীন কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা রয়েছে। আর কোনো গ্রাহক যদি কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়ে নিতে চান, তখন স্বল্প হারে সুদ দিতে হবে তাঁকে।

কিস্তিতে ফ্রিজ কেনা হলে এর বিক্রয়োত্তর সেবা কি সাধারণভাবে কেনা ফ্রিজের মতোই পাওয়া যাবে, অনেক ক্রেতার মনেই এই প্রশ্ন উঁকি দেয়। সাধারণ প্রক্রিয়ায় কেনা ফ্রিজ এবং কিস্তিতে কেনা ফ্রিজের ক্ষেত্রে বিক্রয়োত্তর সেবায় কোনো রকম তারতম্য থাকে না। ফ্রিজের যেকোনো সমস্যায় গ্রাহকেরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী সব ধরনের সেবা পাবেন।

কিস্তিতে ফ্রিজ কিনতে হলে কী কী জিনিস প্রয়োজন, তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন অনেক ক্রেতা। কিস্তিতে ফ্রিজ কিনতে হলে প্রথমেই শোরুম থেকে একটি ফরম সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজনীয় সব তথ্য পূরণ করে ফরমটি জমা দেবেন। এর সঙ্গে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ক্রেতার আত্মীয় নন, এমন দুজন ব্যক্তি, যাঁরা ‘গ্যারান্টার’; অর্থাৎ নিশ্চয়তা প্রদানকারী হবেন, তাঁদের পরিচিতি ইত্যাদি তথ্য ও কাগজপত্র দিতে হবে। এসব খুব জটিল কোনো প্রক্রিয়া নয়। আপনার নিকটস্থ যেকোনো ব্র্যান্ডের শোরুমেই পাবেন কিস্তিতে ফ্রিজ কেনার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা।