কাশ্মীরে নিহত ৩ বাংলাদেশির লাশ আনার চেষ্টা চলছে
ভারতের কাশ্মীরে হাউস বোটে অগ্নিদুর্ঘটনায় নিহত দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মরদেহ দেশে আনার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে ইতিমধ্যে ভারতের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে তারা যোগাযোগ করছে।
নিহত তিনজন হলেন রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল (৩৬), খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন দাশগুপ্ত (৩৪) ও ঠিকাদার মো. মাঈনুদ্দিন (৪০)। শেষের দুজনের বাড়ি রাউজানে। অনিন্দ্য মিরসরাইয়ের বাসিন্দা। তবে তিনি নগরের জামালখানে বাবা, মা ও স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকতেন।
নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। আজ সোমবার অনিন্দ্যর বাবা স্বপন কুমার নাথ ও মা উমা নাথ চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার কার্যালয়ে ভিসার জন্য আবেদন করেছেন।
স্বপন কুমার নাথ বলেন, ‘আমরা ভিসার জন্য আবেদন করেছি। পাশাপাশি ইমনের মা–ও ভিসার আবেদন করেছেন। হয়তো কালকের মধ্যে ভিসা পেয়ে যাব। তখন যাওয়ার দিন–তারিখ নির্ধারণ হবে। এ ছাড়া গণপূর্ত বিভাগ থেকে তারা সার্বক্ষণিক দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সব দপ্তরে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বপন কুমার নাথ বলেন, মাঈনুদ্দিনের কেউ নেই। আমরাই নিয়ে আসব তাঁকে।
চট্টগ্রাম গণপূর্ত অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ প্রথম আলোকে বলেন, সহকর্মীসহ তিনজনের মরদেহ আনার বিষয়ে তাঁরা যাবতীয় কাগজপত্র দূতাবাস এবং বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন। মরদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন হতে পারে। ঢাকায় আনার পর তা করা হবে।
৩ নভেম্বর অনিন্দ্য, ইমন ও মাঈনুদ্দিন ভারতের উদ্দেশে রওনা হন। এরপর জয়পুর, দিল্লি, আজমির শরিফ, আগ্রাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। গত শুক্রবার তাঁরা শ্রীনগরে যান। সেখানে ওই দিন বিকেলে ওঠেন ডাল লেকের একটি হাউস বোটে। তবে বোটটি তাঁদের পছন্দ হয়নি বলে শুক্রবারই জানিয়েছিলেন স্বজনদের। এরপর শনিবার ভোরে হাউস বোটে আগুন লেগে তিনজনের মৃত্যু হয়।