বাজারে নতুন নামে ভিন্ন রঙে এসএমসির ওরস্যালাইন

‘এসএমসি ওরস্যালাইন’ নামে নতুন এই মোড়কে বাজারে এসেছে এসএমসির খাওয়ার স্যালাইন। আজ রোববার খাওয়ার স্যালাইনের নতুন নাম ও নতুন মোড়ক নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসএমসিছবি: প্রথম আলো

সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানির (এসএমসি) বহুল ব্যবহৃত ওরস্যালাইন নতুন নামে বাজারে এসেছে। প্যাকেটে আগের সেই রং নেই। তবে দাম আগের মতো ৬ টাকাই। গুণমানে একই আছে।

এসএমসির ওরস্যালাইনের নাম ছিল ‘ওরস্যালাইন-এন’। নতুন নাম হয়েছে ‘এসএমসি ওরস্যালাইন’। আগে ওরস্যালাইনের প্যাকেটের রং ছিল হলুদাভ, সোনালি। এখন হলুদ রঙের মধ্যে গাঢ় নীলের ছোঁয়া। এসএমসির কর্মকর্তাদের ধারণা, নতুন মোড়ক আগের চেয়ে আকর্ষণীয়।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে এসএমসির প্রধান কার্যালয়ে খাওয়ার স্যালাইনের নতুন নাম ও নতুন মোড়ক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৪০ বছরে এসএমসির ওরস্যালাইন লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে এসএমসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তছলিম উদ্দিন খান বলেন, তারা বছরে দেড় শ কোটি প্যাকেট ওরস্যালাইন বিক্রি করেন। ফার্মেসি, মুদির দোকান ও অন্যান্য ব্যবস্থা মিলে সারা দেশে প্রায় পাঁচ লাখ জায়গা থেকে ওরস্যালাইন বিক্রি হয়। দেশের প্রতিটি ঘরে আস্থার প্রতীক এসএমসির খাওয়ার স্যালাইন।

সংবাদ সম্মেলনে সংক্ষিপ্ত আকারে খাওয়ার স্যালাইনের উদ্ভাবন ও বিস্তার বিষয়ে আলোচনা হয়। এসএমএসির চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশি শরণার্থীদের মধ্যে প্রথম ব্যাপকভাবে খাওয়ার স্যালাইন ব্যবহার করা হয়।

খাওয়ার স্যালাইনের নতুন নাম ও নতুন মোড়ক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসএমসির কর্মকর্তারা। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে এসএমসির প্রধান কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

এসএমসির কর্মকর্তারা বলেন, খাওয়ার স্যালাইনের উদ্ভাবন, ব্যবহার উপযোগী করার কৃতিত্ব আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি)। অন্যদিকে সারা দেশে খাওয়ার স্যালাইনের ব্যবহার বৃদ্ধি বা জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে ব্র্যাকের ভূমিকা অনেক বড়। এসএমসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৫০ বছর আগে, প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর ১৯৮৫ সালে ওরস্যালাইন বাজারে আনে তারা। খাওয়ার স্যালাইনের বাজারের ৭৫ শতাংশ এখন এসএমসির দখলে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েফ নাসির বলেন, ‘এসএমসির ওরস্যালাইন বিশ্বের ১ নম্বর ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডকে আধুনিক ও গ্রাহকদের উপযোগী করে রাখার জন্য আমরা কাজ করছি।’