অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘কবি জীবনানন্দ দাশের মা কবি কুসুমকুমারী দাশ লিখেছিলেন, “আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।” এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে মনে হচ্ছে আমাদের ছেলেমেয়েরা কথায় নয়, কাজে বড় হয়েছে। কারণ, ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা যতটা সহজে ইংরেজি শিখতে পারে, বাংলাটা সাধারণত তাদের এতটা ভালো হয় না।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, ‘খেলাধুলার জন্য নানা দেশে গিয়ে বাধ্য হয়ে ইংরেজি বলি। কিন্তু আমি বাংলায় কথা বলি, বাংলা আমার অহংকার। হাজারবার আমি এই বাংলায় জন্ম নিতে চাইব।’

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক হাকিম আরিফ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অন্যতম লক্ষ্য মাতৃভাষাগুলোকে প্রতিষ্ঠা করা। তাই এবারের অলিম্পিয়াড আয়োজনে সহযোগী হয়েছি।’

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, বয়সের ভিত্তিতে এ বছর দেশের ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯০টি শাখার প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী আন্তস্কুল বাংলা অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেছিল। এতে বিজয়ী হয়েছে ১৪৬ জন। প্রথম হয়েছে ২৯ জন, দ্বিতীয় ৪৪ জন ও তৃতীয় ৭৩ জন।

ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশের অধ্যক্ষ রোকসানা জারিন বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে বাংলা ভাষাচর্চার এই প্রতিযোগিতার এক যুগ পূর্তির আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত। আমরা মনে করি, এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের স্কুল বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিচর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি উত্তরায় স্কুলটির প্রাঙ্গণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার সহযোগী হিসেবে যুক্ত ছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থীরা আবৃত্তি, নাচ ও গান পরিবেশন করে।