ঢাবিতে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা: মামলায় আসামি শেখ হাসিনা, চিত্রনায়ক রিয়াজ-জায়েদ খান

শেখ হাসিনাফাইল ছবি: রয়টার্স

ছয় বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিএনপি নেতা–কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, চিত্রনায়ক রিয়াজ, জায়েদ খানসহ ১০৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মঙ্গলবার এ মামলা করেন সেলিম হোসেন নামের এক ব্যক্তি। মামলার অভিযোগ এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার আরজিতে অভিযোগ আনা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে আসার জন্য রওনা হন খালেদা জিয়া। রায় ঘোষণা উপলক্ষে সেদিন বেরা ১১টার দিকে বিএনপির অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০ জন নেতা–কর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে অবস্থান নেন। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ ১৪–দলীয় জোটের শত শত নেতা–কর্মী বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালান।

শাহজাহানপুর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলী আজগরসহ অন্য আসামিরা লোহার রড, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা করেন। তখন মামলার বাদী বিএনপি কর্মী সেলিম হোসেনসহ অন্য বিএনপির নেতা–কর্মীদের কুপিয়ে জখম করা হয়।

মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও নূর নবী চৌধুরী শাওন, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী (সম্রাট), চিত্রনায়ক রিয়াজ ও জায়েদ খান, সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমানকে আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা হয় ঢাকার আদালতে। এর পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে সারা দেশে অন্তত ২২৮টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৯৫টি মামলায় হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।