জয়কে হত্যাচেষ্টার মামলায় আদালতের সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে শফিক রেহমানের আপিল, জামিন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের দেওয়া সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেছেন সাংবাদিক শফিক রেহমান। ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে আপিলের পর শফিক রেহমানের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন। সাংবাদিক শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে করা হয়রানিমূলক মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানের কারাদণ্ড হয়। সেই কারাদণ্ডের রায় বাতিল চেয়ে তাঁর মক্কেল শফিক রেহমান ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আজ আপিল করেছেন। একই সঙ্গে তিনি আজ সকাল ১০টার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি নিয়ে তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া শফিক রেহমানের আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন বলে জানান তাঁর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে সাংবাদিক শফিক রেহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেদিন তিনি সাজা পরোয়ানা বাতিলের আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন।
আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে জানান, শফিক রেহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেদিন তাঁর মক্কেল আত্মসমর্পণ করে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ায় তিনি রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ মহানগর আদালতে আপিল করেছেন।
গত বছরের ১৭ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য চারজন হলেন, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলা করেন।