সুরের ঝরনাধারা আর ফ্যাশনে মনোরম সন্ধ্যা

দিনভর সূর্যের দেখা নেই। মেঘে ঢাকা আকাশে গুমোট পরিবেশ। দিনের সে পরিস্থিতি যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল সন্ধ্যায়, সুরের ঝরনাধারা আর ফ্যাশনের ঝলমলে আলোর দ্যুতিতে। সুর ও ফ্যাশনের সন্ধিতে আলোঝলমলে একটুকরা মনোরম সন্ধ্যা নেমে এল চট্টগ্রামের বুকে।

চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ তারকা হোটেল র‍্যাডিসন ব্লু বে ভিউয়ের মেজবান হলে আজ শনিবার সন্ধ্যায় বসেছে বার্জার-প্রথম আলো ঈদ ফ্যাশন শোর এই আসর।

এবারের আয়োজনে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। এ আয়োজনে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন পেশার আমন্ত্রিত অতিথিরা।

চট্টগ্রামে নিয়মিত এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে প্রথম আলো। এবার এই আয়োজনের ২২তম আসর। করোনা মহামারির জন্য ২০২০ ও ২০২১ সালে এ প্রতিযোগিতা হয়নি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় সুর নিয়ে মঞ্চ হাজির হন সরলা ব্যান্ডের শিল্পীরা। তাঁরা সুরের জাদুতে মুগ্ধ করে রাখেন আমন্ত্রিত অতিথিদের।

স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ঈদের বারতা নিয়ে আজ আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। সেই ১৯৯৮ সাল থেকে চট্টগ্রামে আমরা ঈদ ফ্যাশনের আয়োজন করে আসছি। আমরা ফ্যাশন ডিজাইনারদের দেশের সামনে তুলে ধরেছি।’ তিনি বলেন, ‘প্রথম আলো শুধু সংবাদপত্র নয়। সংবাদপত্র থেকে একটু বেশি। আমাদের পাতায় ইতিবাচক নয়, এমন খবর যেমন থাকে, তেমনি থাকে সুখবর ও নানা ইতিবাচক সংবাদ।’

বিশ্বজিৎ চৌধুরীর বক্তব্যের পরপরই শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। ঝলমলে মঞ্চে দ্যুতি ছড়ানো রংবাহারি পোশাক পরে হাজির হন মডেলরা। নির্বাচিত ডিজাইনারদের করা এসব পোশাকে ছিল ঈদের বারতা। পোশাকে নানা নকশা আর বৈচিত্র্য থাকলেও সব কটিতে ছিল রঙিন আর উজ্জ্বল রঙের দাপট।

এবারের ঈদ ফ্যাশনে ছিল না অন্যান্যবারের মতো প্রথাগত কোনো প্রতিযোগিতা। তার পরিবর্তে চট্টগ্রামের শীর্ষ আটজন ফ্যাশন ডিজাইনারকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন এইচ এম ইলিয়াস, আইভি হাসান, সুলতান নুরজাহান রোজী, কাজী শাহতাজ পারভীন, নূজহাত নূয়েরী কৃষ্টি, ফারজানা মালিক, জান্নাতুল ফেরদৌস মালিহা, নাসরিন সরওয়ার। তাঁদের বেশির ভাগ প্রথম আলোর ঈদ ফ্যাশন প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসা। তাঁদের নকশা করা পোশাকের সুনাম এখন দেশ-বিদেশে। অনুষ্ঠানে এই ডিজাইনারদের বিভিন্ন সময়ের পেশাগত সাফল্য ও কাজের বর্ণনা দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।