প্রকল্পে এগিয়ে, গ্রাহকসেবায় পিছিয়ে

প্রতিষ্ঠার ৫৯ বছরেও সংস্থাটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। ফলে পয়োবর্জ্য নদী-নালা-খালে মিশে দূষণ ছড়াচ্ছে।

চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার পোড়া কলোনির বাসিন্দারা চার দিন পর পানি পেয়েছেন। দীর্ঘ সারিতে কলসি রেখে পানির অপেক্ষায় তাঁরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে
ছবি: জুয়েল শীল

১৯৬৩ সালে যখন চট্টগ্রাম ওয়াসা চালু হয়, তখন এই শহরে জনসংখ্যা ছিল ৭ থেকে ৮ লাখ। শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি দিনে মাত্র এক কোটি লিটার পানি উৎপাদন করত। ওই পানি নগরের হাতে গোনা কিছু মানুষের কাছে পৌঁছাত। এরপর ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা বেড়েছে। বেড়েছে শহরের জনসংখ্যা। পানি শোধন ও সরবরাহের প্রকল্পেও এগিয়েছে সংস্থাটি। কিন্তু এখনো গ্রাহকসেবায় পুরোপুরি সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারেনি।

মোটা দাগে চট্টগ্রাম ওয়াসার গ্রাহকদের তিন ধরনের সেবা দেওয়ার কথা। এর মধ্যে রয়েছে সুপেয় পানি সরবরাহ, পয়োবর্জ্য নিষ্কাশন ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। প্রতিষ্ঠার ৫৯ বছরেও সংস্থাটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেনি। ফলে ব্যবহৃত পয়োবর্জ্য খাল-নদী-নালায় মিশে দূষণ ছড়াচ্ছে। পানির মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। নানা সময়ে গ্রাহকেরা পানিতে ময়লা পাওয়ার অভিযোগ করেন। সংযোগ থাকা সত্ত্বেও অনেক এলাকায় নিয়মিত পানি পৌঁছায় না। আবার পানির বিল দিতে গিয়েও গ্রাহকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। মূলত গড় বিল পদ্ধতির কারণেই ওই ভোগান্তি।

আরও পড়ুন

বর্তমানে ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি ও বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি। ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের পানির দৈনিক উৎপাদন এখন ৪৫ থেকে ৫০ কোটি লিটার। চাহিদাও ৪৫ কোটি লিটার। কাগজে-কলমে চাহিদা ও উৎপাদন সমান হলেও ‘সিস্টেম লসের’ কারণে ওয়াসা গ্রাহককে সরবরাহ দিতে পারে সাড়ে ৩৩ কোটি লিটার। এই সিস্টেম লসের নামে প্রচুর পরিমাণ পানি চুরি হয়, যা স্বীকার করেছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ। এতে ওয়াসার বছরে ক্ষতি ১৪৭ কোটি টাকা।

মিটার নিয়ে এমন ভোগান্তি থাকলেও তা ডিজিটাল করা হচ্ছে না। গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে ইতিমধ্যে ডিজিটাল মিটার স্থাপন করা হয়েছে। গ্রাহকেরা প্রি-পেইড কার্ডের মাধ্যমে টাকা দিয়ে এসব সেবা নিচ্ছেন। কিন্তু চট্টগ্রাম ওয়াসায় এ ধরনের সুযোগ নেই। গত ফেব্রুয়ারিতে তিন হাজার স্মার্ট মিটার বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে দরপত্র মূল্যায়নপ্রক্রিয়ায় সেই উদ্যোগ এখনো আটকে আছে।

সিস্টেম লস কমিয়ে আনার ওপর জোর না দিয়ে সংস্থাটি প্রায় প্রতিবছরই ধাপে ধাপে পানির দাম বাড়িয়ে আসছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৩ বছরে পানির দাম বেড়েছে ১২ বার। মাঝে গত বছর করোনা মহামারির কারণে দাম বাড়ানো হয়নি। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দুই দফায় পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি এক লাফে ৩৮ শতাংশ পানির দাম বাড়ানোর পর গ্রাহকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দাবি, ঋণের কিস্তি পরিশোধের স্বার্থে পানির দাম বাড়ানো ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না।

ওয়াসার পানির মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও প্রতিবারই কর্তৃপক্ষ বলেছে, পানিতে কোনো সমস্যা নেই।

আরও পড়ুন

উচ্চ আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি ওয়াসার ২৪টি পয়েন্টে পানির মান পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) ও পরিবেশ অধিদপ্তরে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, নগরের লাভ লেনের গভীর নলকূপের পানি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পরীক্ষা করা হলে ওই পানিতে মাত্রাতিরিক্ত কলিফর্মের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এ ব্যাকটেরিয়া শরীরে গেলে ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরাসহ নানা ধরনের রোগ হতে পারে।

ওয়াসার পানিতে কোনো সমস্যা নেই দাবি করে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, গ্রাহকের সন্তুষ্টি শতভাগ অর্জন করা যায়নি, এটি সত্য। পুরোনো লাইনের কারণে কয়েকটি এলাকায় নিয়মিত পানি যাচ্ছে না। এ কারণে নতুন লাইন বসানো হচ্ছে। গড় বিলের অভিযোগ নিয়ে কেউ এলে সমাধান করে দেওয়া হয়। মিটারের সমস্যার কারণে অনেক সময় গড় বিল করতে হয়। তবে গড় বিল এখন কমে এসেছে। মিটার ডিজিটাল করা হচ্ছে। এ ছাড়া সিস্টেম লসের নামে চুরি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঋণের টাকায় প্রকল্প, কিস্তি পরিশোধে চাপ

চট্টগ্রাম ওয়াসা তিনটি গভীর নলকূপ নিয়ে যাত্রা শুরু করে। প্রথম পানি শোধনাগার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয় ১৯৮৭ সালে। এরপর আর বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। ২০০৯ সালের পর সাতটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে চারটি বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন ঋণের টাকায় অন্য তিনটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্থাটি শেষ তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ধীর গতির কারণে একটি প্রকল্পের ব্যয় বাড়াতে হয়েছে। এ জন্য তিনটি দাতা সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর থেকে ওয়াসাকে বছরে ৬৪ কোটি টাকা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। তবে ঋণ পরিশোধ নিয়ে এখন থেকেই তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

ওয়াসার বড় তিনটি প্রকল্প হলো ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প, কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়), কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) ও পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও পয়োনিষ্কাশন প্রকল্প। সম্প্রতি কর্ণফুলী প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে।

এর মধ্যে বেশি ব্যয়ের প্রকল্প কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়। এতে ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ৪৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। প্রকল্পের ব্যয় জোগান দিচ্ছে সরকার, জাপানি দাতা সংস্থা জাইকা ও ওয়াসা। প্রকল্পের সামগ্রিক অগ্রগতি প্রায় ৯০ শতাংশ।

আরও দুটি বড় প্রকল্পের একটি হলো ভান্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প। দক্ষিণ চট্টগ্রামের তিন উপজেলায় পানি সরবরাহের জন্য প্রকল্পটি নেওয়া হয়। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তেইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে কাজ দেওয়া হয়। তবে ২০১৬ সালে কাজের অনুমোদন দেওয়ার প্রায় তিন বছর পর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। দেরিতে শুরু হওয়ায় প্রকল্পের ব্যয়ও বেড়ে গিয়েছিল। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তবে এখন প্রকল্পে ব্যয় আরও বাড়িয়ে ১ হাজার ৯৯৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা করা হয়েছে। বর্তমানে এ প্রকল্পের কাজ ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম নগরের পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩ হাজার ৮০৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এ প্রকল্প নিয়ে ওয়াসা শুরুতেই বড় ধাক্কা খায়। ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে মামলায় জড়িয়ে যায় সংস্থাটি। এরপর কাজও বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১৯ সালে কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ভৌত অগ্রগতি মাত্র ১৬ শতাংশ। তাই প্রকল্পের মেয়াদ এক দফা বাড়ানোর চেষ্টা করছে ওয়াসা।

প্রকল্পের নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পুরো শহরকে ছয়টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। আগ্রাবাদ, নিউমার্কেট, লালখান বাজার, কোতোয়ালি, জামালখান ও হালিশহর এলাকার ৭২ হাজার ৫০২টি বাড়ি এ প্রকল্পের অধীনে পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থায় আসবে।

নগর–পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে তেমন সুবিধা গ্রাহকেরা পাবেন না। কারণ, নগরে জনসংখ্যা ইতিমধ্যে ৫০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাত্র ১৮ থেকে ২০ লাখ মানুষ সুবিধা পাবেন।

লাইন আছে, পানি নেই

চট্টগ্রাম নগরের উত্তর কাট্টলীর বিশ্বাসপাড়ার ভেতরে গেলেই শোনা যায় পানি নিয়ে মানুষের হাহাকারের গল্প। পাড়ার বাসিন্দা মিজানুর রহমানের ঘরে চার সদস্য। সম্প্রতি তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন তাঁরা ওয়াসার পানি পান। বাকি দিনগুলোতে আশপাশের পুকুর ও নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়।

একই এলাকার ঈশান মহাজন সড়কের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ বলেন, ৮ থেকে ৯ মাস আগে তাঁদের এলাকায় ওয়াসার পানির সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো পানি দেওয়া হয়নি। ওয়াসার কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি।

শুধু এই এলাকার বাসিন্দা নন, নগরের আরও অন্তত পাঁচটি এলাকায় ওয়াসার পানি ঠিকমতো পৌঁছায় না। এর মধ্যে আছে পশ্চিম খুলশীর হামিদ সড়ক এলাকা, কৈবল্যধাম বিশ্বকলোনি, ফিরোজ শাহ ও হালিশহরের কিছু এলাকা।

ওয়াসা সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের আগে ৬০০ কিলোমিটার লাইনে নগরে পানি সরবরাহ করা হতো। এখন প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার পাইপলাইনে সরবরাহ হয়।

ডিজিটাল সেবায় পিছিয়ে

নগরের দেওয়ানহাট এলাকায় চারতলা ভবনের মালিক ফজলুল হক। দুই দশক আগে তিনি ওয়াসার পানির সংযোগ নিয়েছিলেন। মাসে তাঁর পানির বিল আসে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা। কিন্তু গত মে মাসে বিল দিতে হয়েছে ৩৬ হাজার টাকা এবং এর আগের এপ্রিলে ২৪ হাজার টাকা। এত বেশি বিল আসার কারণ জানতে ফজলুল হক গত ২৮ আগস্ট যান ওয়াসা কার্যালয়ে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। ফজলুল হক বলেন, মিটার হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, আবার হঠাৎ ঘোরে। এ কারণে বিল বেশি এসেছে। আগে একবার এসে কর্তৃপক্ষকে জানালেও কাজ হয়নি।

চট্টগ্রাম ওয়াসায় এ ধরনের সমস্যা নতুন নয়। পানির মিটার নিয়মিত নষ্ট হচ্ছে। অভিযোগ নিয়ে আসার পর নতুন মিটারও লাগিয়ে দিচ্ছে সংস্থাটি। তবে গড় বিলের ভোগান্তি থেকে যাচ্ছে। কেউ পাঁচ ইউনিট (পাঁচ হাজার লিটার) পানি ব্যবহার করে দিচ্ছেন সাত ইউনিটের বিল। কেউ ৭ ইউনিট ব্যবহার করে দিচ্ছেন ১২ থেকে ১৫ ইউনিটের বিল। আবার অনেকে বেশি পানি ব্যবহার করে দিচ্ছেন কম ইউনিটের বিল।

বর্তমানে ওয়াসার ৪১ জন মিটার পরিদর্শক আছেন। তাঁরা নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে মিটার পরিদর্শন করে বিল তৈরি করেন। অভিযোগ আছে, মিটার পরিদর্শকেরা ঠিকভাবে সব বাড়িতে যান না। পুরোনো বিলের প্রতিবেদন দেখে নতুন মাসের বিল তৈরি করেন। একেই গড় বিল পদ্ধতি বলা হয়। আবার কিছু কিছু গ্রাহক মিটার পরিদর্শকের সঙ্গে যোগসাজশে কম বিল দেন।

ওয়াসার হিসাবে, গড় বিল দিচ্ছেন প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহক। তবে গ্রাহক ও বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাস্তবে গড় বিলের ভোগান্তি পোহাচ্ছেন অন্তত ১০ হাজার গ্রাহক।

মিটার নিয়ে এমন ভোগান্তি থাকলেও তা ডিজিটাল করা হচ্ছে না। গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে ইতিমধ্যে ডিজিটাল মিটার স্থাপন করা হয়েছে। গ্রাহকেরা প্রি-পেইড কার্ডের মাধ্যমে টাকা দিয়ে এসব সেবা নিচ্ছেন। কিন্তু চট্টগ্রাম ওয়াসায় এ ধরনের সুযোগ নেই। গত ফেব্রুয়ারিতে তিন হাজার স্মার্ট মিটার বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে দরপত্র মূল্যায়নপ্রক্রিয়ায় সেই উদ্যোগ এখনো আটকে আছে।

ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা গ্রাহকসেবায় এখনো পিছিয়ে আছে। সংস্থাটি গড় বিলের ভোগান্তি কমাতে পারেনি। মান্ধাতার আমলের মিটার দিয়ে কার্যক্রম চলছে। এখনো বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত পানি পৌঁছায় না। কিন্তু বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। আবার তাদের পানির মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। প্রকল্প নিলেও তা কতটুকু মানুষের কাজে লাগবে, তা সময়ই বলে দেবে।