সংসদে প্রবাসীদের জন্য আসন সংরক্ষণ নিয়ে রিট

হাইকোর্ট ভবন
ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক সংরক্ষিত আসনের দাবিতে দুই প্রবাসীর করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।

আবুল কালাম আজাদ ও এস এম রফিকুল পারবেজ নামের ওই দুই প্রবাসী গত মাসে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব বরাবর একটি আবেদনপত্র দেন। তাতে ‘প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রবাসীদের মধ্যে থেকে নিয়োগ করাসহ জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক আসন সংরক্ষণের’ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়।

ওই আবেদন করার পর ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১ নভেম্বর রিটটি করা হয় বলে জানিয়েছেন আবেদনকারীদের আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোববার রিট (মেনশন স্লিপ) জমা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে। প্রবাসীদের জন্য এমন সংরক্ষিত আসন রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব বরাবর গত ৫ অক্টোবর আবেদনটি দেওয়া হয়।’

মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রিটে এই আবেদনটি কেন নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং প্রবাসীদের জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।’

নিজেদের ‘আমেরিকাপ্রবাসী’ ও দেশের ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ উল্লেখ করে গত ৫ অক্টোবর করা আবেদনে আবুল কালাম আজাদ ও এস এম রফিকুল পারবেজ বলেন, প্রায় আড়াই কোটি প্রবাসী বাংলাদেশের অন্যান্য নাগরিকের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন না।

প্রবাসীদের জন্য সংসদের আসন সংরক্ষণ না করাকে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মনে করেন ওই দুই প্রবাসী বাংলাদেশি। তাঁদের আবেদনে বলা হয়, বৈষম্যমূলক আচরণ বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। প্রবাসী ভাইবোনেরা সমান অধিকার ভোগ করতে পারছেন না। তাঁরা দেশে-বিদেশে বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত। প্রবাসীদের কথা বলার জন্য সংসদে কোনো প্রতিনিধি নেই। তাই প্রবাসীদের জন্যও সংসদে আসন সংরক্ষণ করা হোক।