আইএএসজির প্রস্তাবে একাত্তরের গণহত্যাকে স্বীকৃতি

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালির ওপর নৃশংস গণহত্যা চালায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী
ফাইল ছবি

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালির ওপর পরিচালিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংস গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে একটি প্রস্তাব (রেজল্যুশন) গ্রহণ করেছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব জেনোসাইড স্কলারস (আইএএসজি)।

গতকাল সোমবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে আইএএসজি। এটির শিরোনাম ‘রেজল্যুশন টু ডিক্লেয়ার দ্য ক্রাইমস কমিটেড ডিউরিং ১৯৭১ বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার অ্যাস জেনোসাইড, ক্রাইমস অ্যাগেইনস্ট হিউমিনিটি অ্যান্ড ওয়ার ক্রাইমস’।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংস গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের পথে আইএএসজির এ প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

সরকার এ প্রচেষ্টা নিরলসভাবে অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আইএএসজির যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। এটি একটি বৈশ্বিক সংগঠন। নিরপেক্ষ এ সংস্থা বিশ্বজুড়ে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ধরন, পেছনের কারণ, এর পরিণতিসহ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা করে। এ ছাড়া গণহত্যা প্রতিরোধে নীতিগত অধ্যয়ন এগিয়ে নেওয়া সংস্থাটির অন্যতম কাজ।

বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যাওয়া গণহত্যাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আইএএসজিতে এখন পর্যন্ত কয়েকটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। দুই বছর পরপর সংস্থাটি সম্মেলন করে। ‘জেনোসাইড স্টাডিজ অ্যান্ড প্রিভেনশন’ নামে জার্নাল প্রকাশ করা হয় সংস্থাটি থেকে।