জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘লাল কার্ড’ দেখালেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিছবি: আশিকুজ্জামান

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্যের পদত্যাগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে আয়োজিত এক কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা এই দাবি জানান।

‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। কর্মসূচিতে তাঁরা যৌন নিপীড়ন, প্রশাসনিক-একাডেমিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘লাল কার্ড’ দেখান। সব ধরনের নিপীড়নের দ্রুত তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

কর্মসূচি থেকে জানানো হয়, আগামীকাল বুধবার বেলা ১টায় শিক্ষার্থীরা একটি সংবাদ সম্মেলন করবেন। এতে ক্যাম্পাসের বর্তমান পরিস্থিতিসহ নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা তুলে ধরবেন।

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা শহরে নিজেদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। তাঁর কয়েকজন বন্ধু বলেন, তিনি ফেসবুক পোস্টে সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। আর সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে রায়হানের পক্ষ নিয়ে তাঁর (ফাইরুজ) সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনাটি নিয়ে ক্যাম্পাসে এখন প্রতিদিন নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

আজকের কর্মসূচিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসিফ বলেন, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের আচরণ পেটোয়া বাহিনীর মতো। তাঁরা এমন কাঠামো ভেঙে দিতে চান। আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রক্টরিয়াল বডির সব সদস্যদের পদত্যাগ চান তাঁরা।

ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব সোবহান বলেন, ‘যেকোনো নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব। যৌন নিপীড়নের কারণে অবন্তিকা ও অংকন আত্মহত্যা করেছেন। এখন আরেক ছাত্রী যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন। তিনি নিরাপত্তার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।’

নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সোমা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ জানাতে বক্স রাখা আছে। কিন্তু এগুলো কি কখনো খোলা হয়? আমাদের জানা নেই। আবার অভিযোগ জানিয়েও তো প্রতিকার পাওয়া যায় না।’