ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যার দায়ে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে গণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে গণ অধিকার পরিষদ (নুর-রাশেদ)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নির্বিচার হত্যা চালিয়ে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চেয়েছিল। তাই শেখ হাসিনাসহ হত্যায় জড়িতদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি এ দেশে নিষিদ্ধ করতে হবে।
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে দিতে ভারতের উদ্দেশে নুরুল হক বলেন, বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে অনতিবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশ তথা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধ ‘গণহত্যায়’ জড়িত থাকায় শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগ যাতে দেশে আর রাজনীতি করতে না পারে, সে জন্য দলটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ছাত্রলীগ-যুবলীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া মানে ভিন্নমত নিষিদ্ধ হওয়া নয় উল্লেখ করে নুরুল হক বলেন, গত নির্বাচনে দেশের ৬২টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না গেলেও আওয়ামী লীগের ‘দোসররা’ নির্বাচনে গিয়েছেন। জাতীয় পার্টির মতো সুবিধাবাদী দলকেও রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক আবু হানিফ, উচ্চতর পরিষদের সদস্য জসীম উদ্দিন, শাকিল উজ্জামান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন দলটির প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পাদক মাহফুজুর রহমান এবং সহস্বাস্থ্য সম্পাদক রবিউল ইসলাম। অবস্থান কর্মসূচি শেষে গণমিছিল করা হয়।