পাকিস্তানে অ্যাপিকটায় যায়নি বাংলাদেশ, ক্ষোভ প্রকাশ করে চিঠি

অ্যাপিকটা লোগো

তথ্যপ্রযুক্তির অস্কারখ্যাত চার দিনের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিযোগিতা  ‘অ্যাপিকটা ২০২২’ গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তানে। এ আয়োজনে বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন পাওয়া ৪৩ জনের অংশগ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু মনোনয়নপ্রাপ্তদের অনাগ্রহের কারণে পাকিস্তানের এ আয়োজনে অংশ নেয়নি বাংলাদেশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে চিঠি দিয়েছে অ্যাপিকটা কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বৃহত্তম সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (অ্যাপিকটা)। এ অঞ্চলের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি সম্ভাবনাময় ও সফল উদ্যোগ, সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার স্বীকৃতি দিতে প্রতিবছর অ্যাপিকটা অ্যাওয়ার্ডসের আয়োজন করে থাকে। বেসিস অ্যাপিকটার সদস্য।

ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত এবারের অ্যাপিকটা আয়োজনে বাংলাদেশ অনুপস্থিত থাকা নিয়ে বেসিস নির্বাহী পরিষদকে একটি চিঠি দিয়েছে অ্যাপিকটা। চেয়ারম্যান স্ট্যান সিং ও ভাইস চেয়ারম্যান ফুলভিও ইনসেরার স্বাক্ষর করা ওই চিঠিতে এবারের অ্যাপিকটায় বাংলাদেশের অনুপস্থিতি নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ এ আয়োজন থেকে সরে দাঁড়ানো নিয়ে এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে অ্যাপিকটা আয়োজিত হয়েছে। তাই এর জটিল বিষয়গুলো বেসিসের জানা উচিত। অ্যাপিকটার ইতিহাসে আর কোনো দেশ এমন করেনি। তাই এটি অগ্রহণযোগ্য। এ চিঠিতে বেসিস কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চেয়েছে অ্যাপিকটা।

পাকিস্তানের এ আয়োজনে বাংলাদেশের না যাওয়া প্রসঙ্গে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এর সঙ্গে আবেগ ও কূটনৈতিক বিষয় জড়িত। এবারের আয়োজনে মনোনয়ন পাওয়া সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল। অধিকাংশ সদস্যই পাকিস্তানে যেতে অনাগ্রহী ছিলেন। আমরা এ আয়োজনে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু চীনকে সে সুযোগ দেওয়া হলেও আমাদের দেওয়া হয়নি।’

অ্যাপিকটার চিঠি প্রসঙ্গে বেসিস সভাপতি বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। আমরা এ চিঠির জবাব দেব। আমরা অ্যাপিকটায় প্রায় শুরু থেকেই আছি। পাকিস্তানে যেতে আমাদের বিষয়গুলো আগেই কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরও পাকিস্তানের চাপে পড়ে এ চিঠি দিয়েছে তারা। আমরা বিষয়টি নিয়ে ইসির সদস্যরা আলোচনা করেছি। এ চিঠির জবাব দেওয়া হবে। এতে বাংলাদেশের প্রার্থীদের ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হবে না।’