উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের আইন সংসদে তোলা হবে: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকছবি: প্রথম আলো

উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের আইন সংসদে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারপতি নিয়োগের জন্য সংবিধানে একটি আইন করার কথা বলা আছে। এই সংসদে বিচারপতি নিয়োগের জন্য আইন নিয়ে আসবেন তিনি।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আপিল বিভাগে সাতজন বিচারপতি থাকতে হবে, সংবিধানে এমন কোনো বিধান নেই। আগে ১১ জন বিচারপতিও ছিলেন। খুব শিগগির আপিল বিভাগে বিচারপতি নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নেবেন। একইভাবে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি বাড়ানোর বিষয়েও রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নেবেন বলে তিনি আশা করেন।

সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিচারকের নতুন পদ সৃষ্টিতে সরকার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের আন্তরিক উদ্যোগের কারণেই অধস্তন আদালতে বিভিন্ন পদমর্যাদার ২৫৯টি বিচারকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। আদালতগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারে, সে জন্য ১ হাজার ৯৯৯টি সহায়ক পদও সৃষ্টি করা হয়েছে। অপর দিকে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে চারদলীয় বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে মাত্র ২৫টি বিচারকের পদ এবং ১৩৩টি সহায়ক জনবলের পদ সৃষ্টি করা হয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অধস্তন আদালতে ১ হাজার ৪২৬ জন বিচারক (সহকারী জজ) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চারদলীয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে অধস্তন আদালতে মাত্র ১৯০ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ১৬তম বিজেএসের (বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস) মাধ্যমে ১০৪ জন বিচারক নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সুপারিশ করছে। আরও ১০০ জন বিচারক নিয়োগ পরীক্ষার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।

সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৯৬ সালে আইন কমিশন গঠিত হওয়ার পর বিভিন্ন আইন ও বিধি প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে এ পর্যন্ত ১৬৭টি সুপারিশ (সংশোধনীসহ খসড়া, আইন, বিলের খসড়া, বিশেষ প্রতিবেদন, আইনগত মতামত) পাঠিয়েছে। এর মধ্যে ৮৮টি সুপারিশ ইতিমধ্যে পূর্ণভাবে/আংশিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।

সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ভাড়াটেদের সুযোগ–সুবিধা নিশ্চিত এবং বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটেদের মধ্যে সংঘাত নিরসনের জন্য ‘বাড়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯১’ বর্তমানে বিদ্যমান। এ অবস্থায় বাড়ি ভাড়া–সংক্রান্ত নতুন কোনো আইন করার পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে প্রয়োজনে বিদ্যমান আইনের বিধানগুলো পর্যালোচনা করা হবে।