সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা বিশিষ্টজনদের

সাংবাদিক ও নীল দলের আইনজীবীদের লাঠিপেটা করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয় পুলিশ
ফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ৪৬ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁরা বলেন, এই ঘটনা রাষ্ট্র কর্তৃক পুলিশকে ‘লাঠিয়াল বাহিনী’ হিসেবে ব্যবহারের নির্মম দৃষ্টান্ত। হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তাঁরা।

আজ বৃহস্পতিবার ৪৬ জন বিশিষ্ট নাগরিক তাঁদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠিয়ে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে কোর্ট প্রাঙ্গণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পুলিশের হামলায় ২৫ জন সাংবাদিক ও আইনজীবী আহত হয়েছেন। দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময়ে পুলিশের হামলা নাগরিক অধিকারের পরিপন্থী।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আদালত নাগরিকের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। সাংবিধানিকভাবে এই প্রাঙ্গণ পবিত্র। সেখানে হামলার ঘটনা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির পরিচায়ক। ক্রমাগত জনমনে রাষ্ট্রের প্রতি ভীতি সঞ্চারিত হয়ে রাষ্ট্র দুর্বল হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেখানে রাষ্ট্রের নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে, সেখানে উল্টো তাদের দ্বারা হামলা, লাঠিপেটা, নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, যা মৌলিক মানবাধিকার খর্ব করে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, লেখক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এম রফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য আব্দুল লতিফ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী, লেখক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, মোহসিন রশীদ, হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ ও ইলিয়াস খান প্রমুখ।