চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মাহমুদ হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিপি মাহমুদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। যেকোনো সময় তিনি দেশত্যাগ করতে পারেন বলে দুদক জানতে পেরেছে। এ জন্য চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
দুদক লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছে, চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তিনি পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের পদ ব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান ও কানাডায় বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য পেয়েছে দুদক।
দুদকের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছেন, অজ্ঞাত স্থান থেকে চৌধুরী নাফিজ সরাফাত জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিজের পক্ষে বক্তব্য প্রচার করছেন।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়। সেদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তাঁর ব্যাংক হিসাব স্থগিতের নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছিল।
সাবেক ব্যাংকার চৌধুরী নাফিজ সরাফাত সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান রেইসের মালিকানার সঙ্গে যুক্ত। এ ছাড়া তিনি মোবাইল টাওয়ার কোম্পানি, বিদ্যুৎ কোম্পানি, তারকা হোটেল ব্যবসা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, গণমাধ্যমসহ নানা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।