মেয়র–কাউন্সিলরের জামিন, কারাগারে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী

অবৈধভাবে আড়াই হাজার কোটি টাকা অর্জনের অভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি ফরিদপুরের পৌর মেয়র অমিতাভ বোস ও কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে ফরিদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সামছুল আলম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, অমিতাভ বোস, গোলাম মোহাম্মদ নাসির ও সামছুল আলম আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত অমিতাভ ও গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। অপর দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সামছুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল ফরিদপুরের আলোচিত দুই ভাই বরকত-রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মামলার ৪৭ আসামির মধ্যে জামিনে আছেন ৯ জন। কারাগারে রয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন বরকত, ইমতিয়াজ হোসেন রুবেল ও এ এইচ এম ফুয়াদ। এ ছাড়া মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সত্যজিৎ মুখার্জিসহ ৩৫ জন। আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

গত বছরের জুলাইয়ে সিআইডির জমা দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্রে নতুন করে আরও ৩৭ জনকে আসামি করা হয়। এর আগের অভিযোগপত্রে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তাঁর ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জন আসামি ছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়। আসামি বরকত, রুবেলসহ অন্যদের স্বীকারোক্তিতে যেসব আসামির নাম উঠে এসেছে, তাঁদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে সিআইডি। কার হিসাবে কত টাকা লেনদেন, আয়ের উৎস, কত টাকা, কীভাবে লন্ডারিং করা হয়েছিল—তার বিস্তারিত তুলে ধরা হয় অভিযোগপত্রে।