চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি জলহস্তী

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা জলহস্তী। আজ সকাল ১০টায় নগরের ফয়স লেকে অবস্থিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়
ছবি সংগৃহীত

খাঁচার ভেতরে বাঁধানো জলাধারের কিনারে হেঁটে বেড়াচ্ছে জলহস্তীটি। জলাধারের নীল জলের দিকে তাকিয়ে বিশালদেহী প্রাণীটি যেন বুঝতে চাইছে, জলে নামা ঠিক হবে কি না। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের ফয়স লেক এলাকায় অবস্থিত চিড়িয়াখানায় গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেল। চিড়িয়াখানার নতুন এই অতিথি আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে।

রংপুর চিড়িয়াখানার সঙ্গে প্রাণী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে এই জলহস্তী পেয়েছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। সপ্তাহখানেক পর পুরুষ এই জলহস্তীর সঙ্গী হবে এক স্ত্রী।

জলহস্তীর বিনিময়ে রংপুর চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে এক জোড়া বাঘ। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার শাহদাত হোসেন বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের অনুমতিক্রমে এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে ১৯ সেপ্টেম্বর রংপুর চিড়িয়াখানায় পৌঁছে দেওয়া হয় এক জোড়া বাঘ। আজ সকাল আটটায় জলহস্তী এসে পৌঁছেছে। আরেকটি এক সপ্তাহ পর আসেব।

জলহস্তীটির বয়স ১২ বছর। চট্টগ্রামে আগে জলহস্তী ছিল না। যে এক জোড়া বাঘ পাঠানো হয়, সেগুলো রাজ ও পরি দম্পতির সন্তান। ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রাজ-পরিকে কিনে আনা হয়েছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৬৯ প্রজাতির পশুপাখি রয়েছে। এর মধ্যে বাঘ, সিংহ, অজগর, ধনেশ পাখি রয়েছে।