বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রমজান শুরু হওয়ার আগেই সবাই বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। একবারে সব পণ্য কিনে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে বাজারে প্রভাব পড়বে। পুরো মাসের পণ্য একবারে কিনতে গেলে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। নিয়মিত যেভাবে কেনা হয়, সেভাবে কিনলে বাজারে চাপ পড়বে না। ফলে হুমড়ি খেয়ে পড়া যাবে না।
শনিবার চট্টগ্রাম নগরের র্যাডিসন ব্লু বে ভিউতে ‘এইচএসবিসি-এইউডব্লিউ স্কুল অব অ্যাপারেল: লিডিং দ্য ফিউচার অব ফ্যাশন’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাহাজে কিছু পণ্য ভাসার বিষয়ে শুনেছি। বাণিজ্যসচিব বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। ডলারের কারণে এমনটা হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিষয়ে ফলোআপ করছি।’
এর আগে গত বুধবার প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘রোজার পণ্য জাহাজে আটকা’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ডলার-সংকটে আমদানি মূল্য শোধ করতে না পারায় তিনটি জাহাজ থেকে রোজার পণ্য খালাস বন্ধের কথা উল্লেখ করা হয়। তার সঙ্গে নতুন করে একই সমস্যায় আরও দুটি জাহাজের পণ্য আটকে থাকার খবর জানা গেছে। সব মিলিয়ে পাঁচটি জাহাজে ১ লাখ ৩৫ হাজার টন রোজার পণ্য আটকা পড়েছে। মূলত এসব বিষয়ে সাংবাদিকেরা বাণিজ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, ‘রোজার মাস সামনে রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে টাস্কফোর্সের একটা মিটিং করা হয়েছে। আমরা ফলোআপ করছি। ডলার–সংকট রয়েছে, সেটা আমরা সবাই জানি। সামনে রমজান মাস আসছে, সে সময় সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সেটি দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চারটি সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়েছে। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যাতে রমজান মাসে পণ্যটা আনতে পারি।’
সম্প্রতি ভারত সফরের প্রসঙ্গে টেনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দিল্লি গিয়েছিলাম। সেখানেও কথা বলেছি, যাতে ইন্ডিয়া থেকে আমাদের আমদানিটা ইজি হয়। সব রকমভাবে চেষ্টা করছি আমরা, রমজান মাসে যেন আমাদের সমস্যা না হয়।’
দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি) এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের যৌথ উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘এইচএসবিসি-এইউডব্লিউ স্কুল অব অ্যাপারেল অ্যান্ড রিটেইল ম্যানেজমেন্ট’ প্রোগ্রাম। সন্ধ্যায় নগরের র্যাডিসন ব্লু বে ভিউতে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন হয়।
‘এইচএসবিসি-এইউডব্লিউ স্কুল অব অ্যাপারেল: লিডিং দ্য ফিউচার অব ফ্যাশন’ শিরোনামের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এইচএসবিসির দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার হেড অব কমার্শিয়াল অ্যামান্ডা মারফি, ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা কামাল আহমেদ, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, ইউনিভার্সিটির উপাচার্য রুবানা হক, এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুব উর রহমান প্রমুখ।