জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৮০ টাকার নিচে নামিয়ে আনার দাবিতে অনশন

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং তেলের দর লিটারপ্রতি ৮০ টাকার নিচে নামিয়ে আনার দাবিতে আমরণ অনশনে মিরপুরের বাঙলা কলেজের ছাত্র আল আমিন আটিয়া। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

জ্বালানি তেলের লিটারপ্রতি দাম ৮০ টাকার নিচে নামিয়ে আনার দাবিতে গত মঙ্গলবার থেকে অনশন করছেন এক কলেজছাত্র। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ওই ছাত্র বলেছেন, অনশনে তাঁর মৃত্যু হলে সরকারকে দায় নিতে হবে।

অনশনকারী আল আমিন (আটিয়া) ঢাকার মিরপুরেরর সরকারি বাঙলা কলেজের ছাত্র। গত মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তিনি অনশন শুরু করেন। ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে অনশনে বসেছেন তিনি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আল আমিন বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য নিম্নমুখী হলেও সরকার কোনো এক ‘অলৌকিক’ কারণে দাম বাড়িয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম জনসাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। সেই সঙ্গে পারিবারিক জীবনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলো পুষ্টিকর খাবার কেনা দূরে থাক, শিক্ষার স্বাভাবিক খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে, রাষ্ট্রের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করে লিটারপ্রতি ৮০ টাকার নিচে নামিয়ে আনা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রয়োজনে জনগণের করের টাকা থেকে ভর্তুকি দিতে হবে। রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করার জন্য যদি জনগণ রাষ্ট্রকে কর দিতে পারে, তাহলে অবশ্যই রাষ্ট্রকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করার জন্য জ্বালানি খাত থেকে লাভের চিন্তা বাদ দিয়ে প্রয়োজনে ভর্তুকি দিতে হবে। সরকার সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি ৮০ টাকার নিচে নামিয়ে না আনা পর্যন্ত আমার আমরণ অনশন কর্মসূচি চলতে থাকবে। এর ফলে আমার মৃত্যু হলে এই দায় সম্পূর্ণভাবে সরকারকেই নিতে হবে। অন্যথায় অনশনের ফলে আমার মৃত্যু-পরবর্তী ছাত্রসমাজের প্রতিবাদী দাবানলে সরকারের সব খুঁটি নিমেষেই পুড়ে শ্রীলঙ্কা কিংবা ইরাকের মতো ছাই হয়ে যাবে।

গত মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে অনশনে থাকা আল আমিন দুর্বল হয়ে পড়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

আল আমিন বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তিন দিন ধরে অনশনে থাকায় তাঁর শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে। ভালোভাবে কথা বলতে পারছেন না। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তিনি অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।