দক্ষিণ এশিয়ায় সবজি ও ফল খাওয়ায় শুধু পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম সবজি ও ফল খাওয়ার সুযোগ পায় পাকিস্তানের মানুষ। এরপরই আছে বাংলাদেশ। তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মালদ্বীপের মানুষেরা। সামগ্রিক বিচারে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষেরা বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় কম সবজি ও ফল খান।
বৃহস্পতিবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে আন্তর্জাতিক খাদ্যনিরাপত্তা–বিষয়ক গবেষণা সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া কার্যালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বৈশ্বিক খাদ্যনীতি প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে এ অঞ্চলের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা ও নীতিনির্ধারকেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষেরা দিনে গড়ে ১৫৫ গ্রাম সবজি ও ফল খাওয়ার সুযোগ পান। এ তালিকায় সবচেয়ে নিচের দিকে থাকা পাকিস্তানের মানুষেরা খান ১২৮ গ্রাম। আর শীর্ষে থাকা মালদ্বীপের মানুষ ফল ও সবজি খাওয়ার সুযোগ পান ৫৩৮ গ্রাম। আর ভারতের মানুষেরা খেতে পারেন ৩১২ গ্রাম।
সবজি ও ফল কম খাওয়ায় এসব দেশে অপুষ্টি নিয়ে শিশু জন্মদান এবং শিশুদের বুদ্ধি ও মেধার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এতে সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক খাদ্যনিরাপত্তা–বিষয়ক গবেষণা সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক শহিদুর রশিদ বলেন, এ অঞ্চলের দেশগুলোকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টির বিষয়টিতেও গুরুত্ব দিতে হবে।
খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মানুষকে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করার তাগিদ দেন খাদ্যনিরাপত্তা–বিষয়ক গবেষণা সংস্থার মহাপরিচালক জোহান সুইনেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নেপালের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা–বিষয়ক মন্ত্রী প্রদীপ পোওডেল।