দুর্ঘটনায় শিক্ষকের মৃত্যুর পর সড়কে জেব্রাক্রসিং, হচ্ছে গতিরোধক

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে শিক্ষক আফতাব হোসেনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছেছবি: প্রথম আলো

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আফতাব হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সড়কে জেব্রাক্রসিং দেওয়া হয়েছে। গতিরোধকও তৈরি করা হচ্ছে।

আজ শনিবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফতাব হোসেন। মাইক্রোবাসের চালক মাসুদ পারভেজকে আটক করেছে পুলিশ।

শিক্ষক আফতাব হোসেনের জানাজায় অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অনেকে। চোখের জলে সহপাঠী, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা তাঁর কথা স্মরণ করেন।

দুর্ঘটনায় শিক্ষকের মৃত্যুর পর সড়কে গতিরোধক নির্মাণের কাজ চলছে।
ছবি: প্রথম আলো

শিক্ষকের মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট এলাকায় জেব্রাক্রসিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। আজকের মধ্যে গতিরোধকের নির্মাণকাজ শেষ করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল আলম।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট এলাকায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা এবারই প্রথম নয়। গত তিন বছরে চারটি পৃথক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

গত বছর ২০ অক্টোবর বাসের ধাক্কায় দুই শ্রমিক নিহত হন। এর পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ১ নম্বর গেট এলাকায় জেব্রাক্রসিং, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক বিভাগকে ফুটওভার ব্রিজ করার জন্য আগেই দরখাস্ত দেওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ তারা ফুটওভার ব্রিজের জন্য বাজেট পাস করেছে বলে জানিয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

দুর্ঘটনায় শিক্ষকের মৃত্যুর পর সড়কে গতিরোধক নির্মাণের কাজ চলছে। জেব্রা ক্রসিং দেওয়া হয়েছে।
ছবি: প্রথম আলো

পুলিশ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নগর অভিমুখে যাচ্ছিলেন মোটরসাইকেল আরোহী আফতাব হোসেন। একটি মাইক্রোবাস নগর থেকে হাটহাজারীর দিকে যাচ্ছিল। এ সময় মাইক্রোবাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আফতাব হোসেন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন

আফতাব হোসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ২০১১ সালে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১০ সালে একই বিভাগের শিক্ষক ইসমত আরার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়৷ তাঁদের মেহরাব হোসেন নামের আট বছরের একটি ছেলে আছে।