মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে হিরো আলমের ওপর হামলার প্রসঙ্গ

আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে মারছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা। গতকাল সোমবার বেলা সোয়া তিনটায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেনের (হিরো আলম) ওপর হামলার বিষয়টি এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠেছে।

গতকাল সোমবার ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচন হয়। গতকালই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চান এক সাংবাদিক। তিনি প্রশ্ন করেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বাংলাদেশ সফর শেষে ফেরার পরই দেশটির সরকার বিরোধীদের ওপর হামলার পুরোনো ধারায় ফিরেছে। গতকাল বাংলাদেশে একটি উপনির্বাচন হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল এই উপনির্বাচন বর্জন করেছে। এই উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র এক প্রার্থী (হিরো আলম) হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উপনির্বাচনে ১০ শতাংশ ভোটও পড়েনি। এ অবস্থায় কীভাবে বিশ্বাস করবেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবেন? কারণ, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। এমনকি এই উপনির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। এই উপনির্বাচনেও প্রার্থীরা হামলার শিকার হয়েছেন। এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মন্তব্য কী।

গতকাল সোমবার মারধরের শিকার হয়েছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ
আরও পড়ুন
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
ছবি: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ফেসবুক থেকে নেওয়া

প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমি বলব, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এই ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সহিংসতার যেকোনো ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে, স্বচ্ছভাবে ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে উৎসাহিত করি। এবং যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে বলি।’

আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার
ছবি: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমি যেটা বলব, যেমনটা আগেও আমরা বলেছি, বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করবে বলে আমরা আশা করব। আমরা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাব।’

আরও পড়ুন

ওই সাংবাদিক মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, গত বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের সফররত এক সংসদ সদস্যের (শামীম ওসমান) সামনে বিক্ষোভ দেখান এক বিরোধী কর্মী। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মাথায় এই বিরোধী কর্মীর বাংলাদেশে থাকা তাঁর ভাই, মা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা হামলার শিকার হন। ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনা ফেসবুক লাইভে প্রচার করা হয়।

উপনির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন হিরো আলম
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ
আরও পড়ুন

লাইভে বলা হয়, দেশের বাইরে যাঁরা ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাঁদের বাড়িতে হামলা করে জবাব দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং, কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রে বসে ক্ষমতাসীন দলের বিপক্ষে কথা বলে, প্রতিবাদ করে, তাহলে দেশে তাঁর পরিবারের নিরাপদ নয়। এ ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী।

জবাবে মিলার বলেন, তিনি আবার আগের কথার পুনরাবৃত্তি করে বলবেন, যে ধরনের হামলার কথা বলা হলো, গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তার কোনো স্থান নেই।

আরও পড়ুন