কোনো দেশের নারীরা সম্মান না পেলে দেশ ও সমাজেরও সম্মান থাকে না। নারী ও পুরুষ খেলোয়াড়দের বেতনবৈষম্য রয়েছে। নারীর জন্য গৃহীত কর্মসূচিতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলে দেশের উন্নয়নের চিত্র বদলে যেত।
বুধবার নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কার্যালয়ের আনোয়ারা বেগম-মুনিরা খান মিলনায়তনে এ সভা হয়।
জাতীয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আসুন, নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা এবং সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন এম আমীর-উল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে নারী নির্যাতন মহামারি আকার ধারণ করেছে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দিকটি সবচেয়ে রুগ্ণ অবস্থায় আছে।
সভায় আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে আমরা নারীবিদ্বেষী। অনেক নারীও নারীবিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করে থাকেন। প্রতিটি অনিয়ম–নৈরাজ্যের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতার মূল কারণগুলো নির্মূল হচ্ছে না। নারী ও কন্যার অধিকার প্রতিষ্ঠায় কৌশলে এগিয়ে যেতে হবে।
সভায় আরও বক্তৃতা করেন কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক, দীপ্ত টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ চৌধুরী ও সাংবাদিক বাসুদেব ধর।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কমিটির সদস্য বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি মাহমুদ হাসান, সমাজবিজ্ঞানী নেহাল করিম, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম এ সবুর, সানিয়া তহমিনা, শাহিদা চৌধুরী, রামানন্দ বিশ্বাস প্রমুখ।