‘হুমায়ূন আহমেদের হাতে আঁকা ছবি দিয়ে জাদুঘর হবে’

গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের কবরে আজ সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ লেখকের ভক্তরা
ছবি: প্রথম আলো

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নিজ হাতে আঁকা ছবি দিয়ে নুহাশপল্লীতে স্মৃতি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করার কথা জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তিনি বলেন, ‘হুমায়ূন আহমেদের হাতে আঁকা ছবিগুলো অনেক দিন আটকে ছিল নিউইয়র্কের এক ব্যক্তির কাছে। আমরা সব ছবি হাতে পেয়েছি। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের সন্তানদের কাছে এবং আমার কাছে কিছু ছবি আছে। এগুলোসহ হুমায়ূন আহমেদের হাতে লেখা স্ক্রিপ্টগুলো স্মৃতি জাদুঘরে রাখা হবে।’

হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁর কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মেহের আফরোজ শাওন। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের দুই ছেলে ও ভক্তরা।

হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্ন ক্যানসার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ‘আমি খুব ক্লান্ত হয়ে যাই এ প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে। আমার একার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। তাঁর স্বপ্ন অনুযায়ী ক্যানসার হাসপাতাল করার শক্তি অর্জন করতে পারিনি। সরকার যদি উদ্যোগ নেয়, তাহলে হুমায়ূন আহমেদের সম্পদ দিতে তাঁর পরিবার পিছপা হবে না। তবে সুসংবাদ হচ্ছে, হুমায়ূন আহমেদের আরেকটি স্বপ্ন ছিল, তাঁর গ্রামের স্কুল নিয়ে। সেটি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছিল। এ মাসেই সেটা এমপিওভুক্ত হয়েছে।’

হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তাঁর প্রিয় নুহাশপল্লী; যেখানে তিনি চিরশায়িত, সেখানে তাঁর পরিবারের স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা লেখককে স্মরণ করেছেন। সকালে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদ হুমায়ূনের উপস্থিতিতে কবর জিয়ারত করা হয়। এরপর লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়। এ সময় হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশক, শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবারের মতো এবারও হুমায়ূন পরিবার, তাঁর ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনেরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীর লিচুতলায়। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে রূপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।