আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অতিথিদের সঙ্গে আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন শিক্ষার্থী। ঢাকা, ২৪ জানুয়ারিছবি: প্রথম আলো

‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার’ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তরের তিন শিক্ষার্থী। তাঁরা হলেন তামারা ইয়াসমিন, অর্থী নবনীতা ও মো. নাছিমুল হুদা৷ তামারা বিভাগটির ১১তম ব্যাচের আর অর্থী ও নাছিমুল ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কারের চেক তুলে দেন উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। ২০২১ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজের অর্থায়নে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠিত হয়। সেই তহবিল থেকে আজ প্রথমবারের মতো তিন শিক্ষার্থী পুরস্কার পেলেন।

অনুষ্ঠানে আলী রীয়াজের তহবিলের অর্থায়নে সম্পাদিত গবেষণার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থী তামারা ইয়াসমিন, অর্থী নবনীতা ও মো. নাছিমুল হুদা।

অনুষ্ঠানে মুঠোফোনে যুক্ত হয়ে আলী রীয়াজ বলেন,  ‘ এ দিনটা আসলে পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীদের। তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই। শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, জ্ঞানচর্চার ধারাটা যেন তাঁরা অব্যাহত রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয় টিকে থাকে জ্ঞানচর্চার মধ্য দিয়ে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকাটাই হচ্ছে কাজ। আশা করি, সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। আশা করি, ভবিষ্যতে সবার সঙ্গে দেখা হবে।’ শেষে উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনে আলী রীয়াজ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শিক্ষক হিসেবে ছিলেন স্বনামধন্য। এখনো সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন দেশের বাইরে থেকে। একদিকে সুশাসনের জন্য তিনি যেমন প্রতিনিয়ত লিখে যাচ্ছেন, একই সঙ্গে তাঁর মাতৃসম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভুলে যাননি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের আরও উৎসাহিত করছেন৷ ১০ লাখ টাকা দিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে তিনি ট্রাস্ট ফান্ড করেছেন। ১০ লাখ টাকা একজন শিক্ষকের কাছে অনেক টাকা। তিনি বাংলাদেশেরই হোন কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের। যুক্তরাষ্ট্রে আয় যেমন, খরচও তেমন। সেখানে যে খুব অর্থ বাঁচানো যায়, সে রকম নয়। এর মধ্য থেকেই কিছু অর্থ বাঁচিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যয় করার মানসিকতা সবার নেই, সবার পক্ষে তা হয়েও ওঠে না। এ কাজটি করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সহযোগী অধ্যাপক সাইফুল আলম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষকেরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আলী রীয়াজের বোন সফুরন আরা, টকশো ‘তৃতীয় মাত্রা’র উপস্থাপক ও পরিচালক জিল্লুর রহমান, সাংবাদিক তারিক চয়ন প্রমুখ।