এডিস মশার লার্ভা না পাওয়ায় ভবনমালিককে গোলাপ উপহার

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখায় ভবনমালিকদের গোলাপ ফুল উপহার দেওয়া হয়
ছবি: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে সংগৃহীত

ছাদবাগানজুড়ে কয়েক শ প্রজাতির গাছ। রয়েছে সুইমিংপুলও। এতে সিটি করপোরেশনের অভিযানকারী দলের ধারণা জন্মায়, ছাদে থাকতে পারে মশার লার্ভা। তাই তন্ন তন্ন করে ছাদজুড়ে তল্লাশি চালান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত কোথাও লার্ভা পাওয়া যায়নি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখায় ভবনমালিককে গোলাপ ফুল উপহার দিয়ে ফিরে আসেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এই ভবনমালিকের মতো যাঁদের বাড়িতে মশার লার্ভা বা প্রজননস্থল পাওয়া যায়নি, তাঁদের প্রত্যেককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। এ ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরের ও আর নিজাম রোড আবাসিক এলাকায়। নগরের জিইসি মোড়ে অবস্থিত এ আবাসিক এলাকায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এরপর নগরের গরিব উল্লাহ শাহ মাজার আবাসিক এলাকায়ও অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ আবাসিক এলাকায় ২৫টি ভবনের মধ্যে কোনোটিতেই মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। অবশ্য ও আর নিজাম রোড আবাসিক এলাকায় চারটি ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ভবনমালিকদের ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে তা পরিমাণে খুবই কম বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

বৃহস্পতিবারের অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম। তাঁকে সহায়তা করেন সিটি করপোরেশনের ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখায় ভবনমালিকদের গোলাপ ফুল উপহার দেওয়া হয়
ছবি: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন থেকে সংগৃহীত

লার্ভা না পাওয়ায় ও আর নিজাম রোড আবাসিক এলাকার অন্তত ৪০ জন এবং গরিব উল্লাহ শাহ মাজার এলাকার ২৫ ভবনমালিককে গোলাপ ফুল উপহার দেওয়া হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, অন্যান্য আবাসিক এলাকায় যে পরিমাণ লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল, তার তুলনায় ও আর নিজাম রোড আবাসিক এলাকায় তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তারপরও চারটি ভবনে স্বল্প পরিমাণে কিছু লার্ভা পাওয়ায় জরিমানা করা হয়েছে।

মো. রেজাউল করিম বলেন, দুটি আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তিনি বিস্মিত হয়েছেন। কয়েক দিন ধরে নগরের বেশ কিছু আবাসিক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছেন। সব কটির অবস্থা ছিল খারাপ। এই দুটি আবাসিক এলাকার ক্ষেত্রেও একই ধরনের পরিস্থিতির আশঙ্কা করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর অবস্থা ছিল ভালো। নিজেদের উদ্যোগে ভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখায় ভবনমালিকদের গোলাপ ফুল উপহার দেওয়া হয়। অন্য আবাসিক এলাকাগুলো তাঁদের অনুসরণ করলে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে।

ও আর নিজাম রোড আবাসিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনজুর মোরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে খুব সচেতন। নালা-নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। ভবন ও ভবনের ছাদ যাতে পরিষ্কার থাকে, তার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে নিয়মিত প্রচার চালানো হয়, সভা করা হয়।