ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিইসিকে চিঠি

নির্বাচন কমিশন ভবন
ফাইল ছবি

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌরসভা নির্বাচনের সময় সাংবাদিককে উপজেলা চেয়ারম্যানের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো.আহসান হাবিব খান।

মঙ্গলবার সিইসি বরাবর দেওয়া একটি অনানুষ্ঠানিক পত্রে এ অনুরোধ জানান তিনি। অন্য নির্বাচন কমিশনারদেরও এই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, অনানুষ্ঠানিক পত্রে আহসান হাবিব বলেন, ভান্ডারিয়া পৌরসভা নির্বাচনের আগের দিন ( ১৬ জুলাই) কয়েকজন সংবাদকর্মী রিটার্নিং অফিসারের অফিসে (উপজেলা নির্বাচন অফিস) সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন রাত আনুমানিক নয়টার দিকে ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম আকস্মিকভাবে সেখানে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি রিটার্নিং অফিসারকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘একটা পত্রিকা থেকে ১০–১২ জন সাংবাদিক অনুমতি পাবেন কি না?’ প্রশ্নের জবাবে রিটার্নিং অফিসার তাঁকে জানান, ‘কোনো মিডিয়া থেকেই একজনের বেশি অনুমতি দেওয়া হয়নি।’

এ সময় রিটার্নিং অফিসারের সামনেই তাঁর অফিস কক্ষে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মিরাজুল ইসলাম। উচ্চ স্বরে দৈনিক ইত্তেফাকের ভান্ডারিয়া উপজেলা প্রতিনিধি শঙ্কর জীৎ সমাদ্দারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তোমার এখানে কাজ কী? চলে যাও। আবার যদি তোমাকে এখানে বসে থাকতে দেখি, তাহলে তোমাকে উপজেলা চত্বর থেকে বের করে দেব।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে শঙ্কর সমাদ্দার বের হয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে মিরাজুল ইসলামও রিটার্নিং অফিসারের কক্ষ ত্যাগ করেন।

আকস্মিক ঘটনায় রিটার্নিং অফিসার ও উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা হতভম্ব হয়ে পড়েন।
ইসি আহসান হাবিব খানের চিঠিতে বলা হয়, রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে সাংবাদিকদের সভা চলাকালীন হঠাৎ ভান্ডারিয়ার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সভাকক্ষে প্রবেশ করে উপস্থিত একজন সংবাদকর্মীকে এভাবে হুমকি প্রদান বা অসৌজন্যমূলক আচরণ জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে মোটেও কাম্য নয়। একজন জনপ্রতিনিধির এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ কমিশনের জন্যও বিব্রতকর। তাই তিনি বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।