কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত। এ বিষয়ে আগামী ৬ জুন প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নে রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদটির নির্বাচনের তফসিলের বৈধতা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদ হাইকোর্টে রিটটি করেন।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
রিট আবেদনকারীপক্ষ জানায়, ২০১৬ সাল থেকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতাধর কথিত জনপ্রতিনিধির যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে অসংখ্য রোহিঙ্গাকে জাল ঠিকানা, ভুয়া পিতা-মাতা সাজিয়ে ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে জন্মনিবন্ধন, ভোটার আইডিসহ দেশের নাগরিকত্ব দিতে সরাসরি সহায়তা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় এক বাসিন্দা ৩৮ জন রোহিঙ্গার নাম উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। সবশেষ ২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর এক তদন্ত প্রতিবেদনে ৩৮ জনের মধ্যে ৩৫ জন রোহিঙ্গার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। এসব রোহিঙ্গার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। রোহিঙ্গাদের ভোটার রেখেই ওই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় রিটটি করা হয়।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই তদন্তে প্রমাণিত রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পুরো কক্সবাজার জেলায় কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে, তা তদন্ত করে আগামী ৬ জুন আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ তিন বিবাদীর প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি কেন অবৈধ হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।