শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দিলেন বিএনপি নেতাসহ দুজন
তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও কলারোয়ার বাসিন্দা মোবারক আলী। সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে সোমবার তাঁরা এ সাক্ষ্য দেন।
এ নিয়ে ২৩ জন সাফাই সাক্ষীর মধ্যে সাতজন জন সাক্ষ্য দিলেন। আদালত পরবর্তী সাফাই সাক্ষ্যের জন্য দিন ধার্য করেছেন ৭ ফেব্রুয়ারি। এর আগে ১৬ জানুয়ারি চারজন ও ১০ জানুয়ারি একজন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল লতিফ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষ্য শুরু হয়। আসামিপক্ষে আমানউল্লাহ আমান ও মোবারক আলী সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মামলায় ২৩ জন সাফাই সাক্ষ্য দেবেন। তিনি আরও বলেন, আদালতের কাঠগড়ায় কারাগার থেকে আনা ৩৯ জন আসামি হাজির ছিলেন। ৯ জন পলাতক। ইতিমধ্যে ২ জন কারাবন্দী অবস্থায় মারা গেছেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আবদুল মজিদ, মিজানুর রহমান ও আসামি হাবিবুল ইসলামের সহধর্মিণী আইনজীবী শাহানা আক্তার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুল লতিফ, অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি ফাহিমুল হক।
সাতক্ষীরার জজ আদালতের পরিদর্শক মাহমুদ হোসেন বলেন, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বীর মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষণের শিকার স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার সময় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় বিএনপির অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তার ওপর দাঁড় করিয়ে তাঁর গাড়িবহরে হামলা চালান। হামলায় আওয়ামী লীগের ১২ নেতা-কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় করা তিনটি মামলার মধ্যে একটি মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে ৪ থেকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।