২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

সড়কে ৯ মাসে নিহত ৫৫৯৮ জন

সড়ক দুর্ঘটনাপ্রতীকী ছবি

চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৫৯৮ জন মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৪ শতাংশের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৯ হাজার ৬০ জন।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। সেখানে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। তারা নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ও সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯ মাসে দেশে ৫ হাজার ৪৮৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু ৭২৯ ও নারী ৬৭৭ জন। আর পেশার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে, সংখ্যাটি ৬৮৭। উল্লেখ্য, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে ২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ হাজার ৫২৪ জন নিহত হন।

রোড সেফটির তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনে পণ্যবাহী যানের সংখ্যা বেশি। এ প্রসঙ্গে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দেশে চালকদের কোনো নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা নেই। বিশেষ করে পণ্যবাহী যান যাঁরা চালান, তাঁরা ২৪ ঘণ্টার ১৮ ঘণ্টাই থাকেন সড়কে। মানসিকভাবেও তাঁরা অসুস্থ থাকেন। যাত্রীবাহী যানের চালকদের সঙ্গে মানুষের সংযোগ থাকে; কিন্তু পণ্যবাহী যানে চালকের শুধু একজন সহকারী থাকেন। সামাজিক ও মানসিক প্রশান্তিও তাঁদের থাকে না।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আঞ্চলিক সড়কে সবচেয়ে বেশি ৩৮ দশমিক ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপর আছে ৩৩ দশমিক ৭১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে এবং ১৪ শতাংশের বেশি গ্রামীণ সড়কে।

শিশুমৃত্যু বেশি হওয়া প্রসঙ্গে সাইদুর রহমান বলেন, এখন ঘর থেকে বের হলেই সড়ক। সেখানে ইচ্ছেমতো থ্রি–হুইলার চলাচল করছে। শিশুরা রাস্তায় গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া স্কুলে যাওয়া–আসার পথে তারা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

বিভাগের দিক দিয়ে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে রোড সেফটি বলেছে, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা ও না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও তদারকি এবং চাঁদাবাজি।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সঠিক বাস্তবায়ন এবং দক্ষ চালক তৈরির পাশাপাশি ট্রাফিক আইন নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

আরও পড়ুন