শীত থেকে ফসল রক্ষায় যা করতে হবে

তীব্র শীতে বোরো ধানের বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ছবিটি তুলেছেন আবদুর রহমান ঢালী

জেঁকে বসেছে শীত। দেশের বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশার কারণে রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ফসল উৎপাদনেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের (রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট) ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী দু-তিন দিন তা অব্যাহত থাকতে পারে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মাঠের ফসল রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত জরুরি পরামর্শ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সেগুলো হলো—

কুয়াশা ও মৃদু–তীব্র শীতের এ অবস্থায় বোরো ধানের বীজতলায় ৩-৫ সেন্টিমিটার পানি ধরে রাখতে হবে।

ঠান্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা এবং চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য বীজতলা রাতে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। বীজতলা থেকে পানি সকালে বের করে দিয়ে আবার নতুন পানি দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে চারার ওপর জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিতে হবে।

আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে আলুর নাবি ধসা রোগের আক্রমণ হতে পারে। প্রতিরোধের জন্য অনুমোদিত মাত্রায় ম্যানকোজেব গোত্রের ছত্রাকনাশক ৭-১০ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।

শর্ষেখেতে অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ দেখা দিতে পারে। রোগ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনুমোদিত মাত্রায় ইপ্রোডিয়ন গোত্রের ছত্রাকনাশক ১০-১২ দিন পরপর ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে করতে হবে।

ফল গাছে নিয়মিত হালকা সেচ দিতে হবে। কচি ফল গাছ ঠান্ডা হাওয়া থেকে রক্ষার জন্য খড় কিংবা পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।