চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচলাইশ থানার ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

৫০ লাখ টাকার চাঁদা দাবি, মিথ্যা মামলায় জড়ানো ও বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত বাকি দুজন হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাকির হোসেন ও পাঁচলাইশের বাসিন্দা আহমেদ ফয়সাল চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহর আদালতে মামলাটি করেন শামীমা ওয়াহেদ নামের এক নারী।

বাদীর আইনজীবী আফরোজা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, আদালত বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী তাঁর মৃত স্বামীর প্রথম স্ত্রীর সন্তান। নগরের পাঁচলাইশ এলাকায় বাদীর মা রিজিয়া বেগমের নামে কেনা বাড়িতে তাঁরা থাকেন। কিন্তু ওসি নাজিম উদ্দিন ও তাঁর এক এসআইকে নিয়ে ফয়সাল তাঁদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাদীর মা ও ভাইকে ২৭ জুলাই থানায় ডেকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখান ওসি। নইলে তাঁদের মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন। একইভাবে ১২ আগস্ট এসআই জাকিরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এসে বাড়ি দখলের চেষ্টা করে। ওই সময় তাঁরা বাদীর কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওসির নির্দেশে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন মজুমদারের মুঠোফোনে কল করা হলে সেটি ধরেন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আখতারুজ্জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওসি সাহেব ছুটিতে আছেন।

পরে পাঁচলাইশ থানার এসআই জাকির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে চাঁদা দাবি ও ভয়ভীতির সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, থানায় একটি জিডি করেন ফয়সাল। এটির তদন্ত করে পুলিশ। জায়গাজমি নিয়ে তাঁদের পারিবারিক বিরোধ। এখানে পুলিশের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।