রাঙামাটিতে নারী সমাবেশে অংশ নেওয়া অতিথিদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি

রাঙামাটির নারী সমাবেশে অংশ নেওয়া অতিথিদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও ছাত্র-জনতা সংগ্রাম পরিষদ। ঢাকা, ১৭ জুনছবি: প্রথম আলো

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় নারী সমাবেশে অংশ নেওয়া অতিথিদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও ছাত্র-জনতা সংগ্রাম পরিষদ।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। কল্পনা চাকমা অপহরণের ২৯ বছর পূর্তিতে গত বৃহস্পতিবার কাউখালীতে নারী সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে তিন অতিথির ওপর হামলার প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কল্পনা চাকমার অপহরণ দিবসে রাঙামাটিতে সমাবেশ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে বেতছড়ি এলাকায় তিনজন অতিথির ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করে। কাউখালী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম হোসেনের নেতৃত্বে এ হামলা হয়। অবিলম্বে তাঁদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানানো হয় লিখিত বক্তব্যে।

সংবাদ সম্মেলনে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, ছাত্র–জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা ছিল। পাহাড় ও সমতলে সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা ছিল; কিন্তু আগের মতোই তারা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। রাঙামাটিতে তিন অতিথির ওপর হামলা এ কথাই প্রমাণ করে।

এ সময় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষক অলিউর সান বলেন, হামলার সময় কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুর রহমানকে ফোন করা হয়। তিনি নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরদিন অনলাইনে একটি জিডি করতে চাইলেও করা যায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও হামলার শিকার মারজিয়া প্রভা।

এ সময় বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে হামলার শিকার বাসের চালকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া, হামলাকারীদের সহযোগিতার জন্য প্রশাসনকে জবাবদিহি করা, কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার ও বিচার কার্যকর করা, সাধারণ জনগণকে হয়রানি বন্ধ করা ও সাম্প্রদায়িক উসকানি বন্ধ করা ইত্যাদি।