আপাতত বাড়ছে না আরব আমিরাতের এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট

এমিরেটসের উড়োজাহাজ
ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) এয়ারলাইনসগুলোকে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে বিমানবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি সাপেক্ষে ভবিষ্যতে এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব পর্যালোচনা করবে বাংলাদেশ।

তৃতীয় দেশে ফ্লাইট পরিচালনা ‘ফিফথ ফ্রিডম’ হিসেবে পরিচিত। ফিফথ ফ্রিডমের অনুমতি পেলে ইউএইর এয়ারলাইনসগুলো বাংলাদেশ থেকে যাত্রী এবং পণ্য সরাসরি ও বাধাহীনভাবে আমিরাতের বাইরের কোনো দেশে (তৃতীয় দেশ) পরিবহন করতে পারবে।

উড়োজাহাজ চলাচল বিষয়ে বাংলাদেশ ও ইউএইর মধ্যে আয়োজিত দুই দিনের আলোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার ঢাকায় বেবিচকের সদর দপ্তরে আলোচনাটি হয়।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, দুই দেশের মধ্যে এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট নবায়নের অংশ হিসেবে আলোচনাটির আয়োজন করা হয়। বর্তমানে ইউএইর চারটি (এমিরেটস, ইতিহাদ, ফ্লাই দুবাই ও এয়ার অ্যারাবিয়া) এয়ারলাইনস বাংলাদেশে প্রতি সপ্তাহে ১৩০টির বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে। সাপ্তাহিক ফ্লাইটের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে ফ্লাইট পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছিল ইউএই। তৃতীয় দেশে ফ্লাইট পরিচালনা ‘ফিফথ ফ্রিডম’ হিসেবে পরিচিত। ফিফথ ফ্রিডমের অনুমতি পেলে ইউএইর এয়ারলাইনসগুলো বাংলাদেশ থেকে যাত্রী এবং পণ্য সরাসরি ও বাধাহীনভাবে আমিরাতের বাইরের কোনো দেশে (তৃতীয় দেশ) পরিবহন করতে পারবে।

উড়োজাহাজ চলাচল বিষয়ে বাংলাদেশ ও ইউএইর মধ্যে ঢাকায় আয়োজিত দুই দিনের আলোচনা হয়
ছবি: সংগৃহীত

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান দুই দিনের আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। ইউএইর পক্ষে জেনারেল সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রতিনিধিসহ মোট ২২ জন প্রতিনিধি এ আলোচনায় অংশ নেন।

আলোচনার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বেবিচকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ চলছে। তাই ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হবে না। ফলে এখন যে হারে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে, সেভাবেই চলবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়লে ফ্লাইট বাড়ানোর প্রস্তাবটি বিবেচনা করা হবে বলে। তবে ফিফথ ফ্রিডম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না বলে বেবিচকের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন