শর্ত সাপেক্ষে ইভ্যালির রাসেলের জামিন

ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল
ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এক মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার আপিল মঞ্জুর করে এ জামিন দেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওই মামলায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে জামিন চেয়ে বিফল হয়ে হাইকোর্টে আপিল করে জামিনের আবেদন করেন রাসেল। আদালতে রাসেলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আখতারুজ্জামান ও তানভীর হোসেন খান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্ট ওই মামলায় শর্ত সাপেক্ষে রাসেলকে জামিন দিয়েছেন। শর্তের মধ্যে রয়েছে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখা, মাসে একদিন থানায় হাজিরা দেওয়া, মামলার সাক্ষীকে প্রভাবিত না করা এবং অপরাধমূলক কাজ না করা। মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে অন্য মামলা থাকায় রাসেল এখনই কারামুক্তি পাচ্ছেন না।

হাইকোর্ট ওই মামলায় শর্ত সাপেক্ষে রাসেলকে জামিন দিয়েছেন। শর্তের মধ্যে রয়েছে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখা, মাসে একদিন থানায় হাজিরা দেওয়া, মামলার সাক্ষীকে প্রভাবিত না করা এবং অপরাধমূলক কাজ না করা। মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

মামলার নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ইভ্যালির অ্যাপে ২৮ লাখ টাকার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার ক্রয়াদেশ দেন মুহাম্মাদ আলমগীর হোসেন নামের একজন গ্রাহক। তবে কোনো পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ এনে রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ওই মামলা করেন তিনি। এ মামলার তদন্ত করে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ২ মার্চ মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

এর আগে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তৎকালীন চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে (রাসেলের স্ত্রী) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁর স্ত্রী জামিনে মুক্তি পান।