হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতের কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা নিয়ে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার মিথ্যা তথ্য দেয়নি। অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসির উদ্দিন (এলান) রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।

আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির এসব কথা বলেন। তিনি আদিলুর ও নাসির উদ্দিনকে কারাদণ্ড দেওয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী দাবি করেন, ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহতের সংখ্যা অগণিত। সরকারের প্রচণ্ড চাপে কেউ যখন নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করতে পারছিল না, তখন অধিকার নামের মানবাধিকার সংস্থাটি খোঁজখবর নিয়ে ৬১ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়। তিনি বলেন, ‘আমরা দায়িত্বের সঙ্গে বলছি, শাপলা চত্বরে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে আদিলুর রহমান কোনো মিথ্যা তথ্য দেননি। বরং রাজনৈতিক জিঘাংসাবশত মিথ্যা মামলায় তাঁকে এবং তাঁর সংগঠনের পরিচালক নাসির উদ্দিনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা জোরালো ভাষায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন

আদিলুর–নাসিরের দণ্ড: গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইইউ

হেফাজতের আমিরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শাপলা চত্বরে নিহতের সংখ্যা নিয়ে সরকার নিজেই ধূম্রজাল তৈরি করেছে। এ নিয়ে হেফাজত যখনই সাংগঠনিকভাবে তদন্ত করতে নেমেছে, তখনই ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করে সরকার হেফাজতকে থামতে বাধ্য করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারের অধীনে কোনো তদন্ত বা বিচারপ্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করি না। আমরা এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করছি। নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের অধীনে শাপলা চত্বরের গণহত্যার তদন্ত হলে নিহতের সঠিক সংখ্যা বের করাসহ উপযুক্ত বিচার সম্ভব।’

বিবৃতিতে হেফাজত আমির অবিলম্বে কারাবন্দী মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি মুনীর হোসাইন কাসেমীসহ সব আলেম এবং আদিলুর রহমান ও পরিচালক নাসির উদ্দিনের মুক্তি দাবি করেন।

আরও পড়ুন

অধিকারের আদিলুরের দুই বছরের কারাদণ্ড