খুব স্ট্রং ভাষায় বলেছি, নিরপেক্ষ থেকে কাজ করতে হবে: সিইসি

বরিশাল সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সিইসি
ছবি: প্রথম আলো

নির্বাচন সুষ্ঠু করা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘ওনারা যদি চ্যালেঞ্জ ফেস না করে থাকেন, সেটি টলারেট করব না। যদি কোনো চ্যালেঞ্জ থাকে, সেটি তাঁদের মোকাবিলা করতে হবে।’

এদিকে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা মাঠ কর্মকর্তাদের বিষয়ে সিইসি বলেছেন, ‘পক্ষপাতিত্বের কোনো স্কোপ (সুযোগ) নেই। আমরা খুব স্ট্রং ভাষায় বলেছি, আপনাদের নিরপেক্ষ থেকে কাজ করতে হবে। এটি মনে করলে চলবে না যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানেই সরকারের বাহিনী বা সরকারি দলের বাহিনী। তাঁরা সরকারিভাবে রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাকে ওনারা (সরকারি কর্মকর্তারা) আশ্বস্ত করেছেন, আইনে যে দায়িত্ব তাঁদের ওপর অর্পিত হয়েছে, তা তাঁরা অন্ধভাবে পালন করবেন।’

আজ রোববার বিকেলে বরিশাল সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে এ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, নগর পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে, তার দায়দায়িত্ব ওনাদের (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) নিতে হবে। আমাদের সেই বিশ্বাস আছে, ওনাদের সেই প্রফেশনাল ক্যাপাসিটিটা (পেশাগত সক্ষমতা) আছে, ওনারা সেই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের যে ম্যান্ডেট, লক্ষ্য–উদ্দেশ্য, সেটি খুব ছোট উল্লেখ করে এ সময় সিইসি বলেন, ‘সেটি হলো, যেকোনো নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে আসবেন নির্ভয়ে। তাঁরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। কাকে ভোট দেবেন, কে জিতবেন, কে হারবে—সেটি আমাদের বিষয় নয়।’

ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাতে নির্বাচন কমিশন সচেষ্ট, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘সেই কাজ আমরা কখনোই এককভাবে করি না। রাষ্ট্রের মূল প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে ও সার্বিক সহযোগিতায় এটি করতে হয়।’

নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা একটু আগে বলেছি, স্বচ্ছতা, ভালো নির্বাচন করেছি। মুখে আমরা বললাম সেটি, কিন্তু অনেকেই বিশ্বাস করবে না। ভালো নির্বাচন হলো কি হলো না, সেটি নির্ভর করে স্বচ্ছতা বা গ্রহণযোগ্যতার ওপর; যেটাকে আমরা ক্রেডিবিলিটি বলি। সে জন্য আমরা চেষ্টা করব, নির্বাচনে স্বচ্ছতা কতটুকু প্রতিভাত করা যায়।’

আগামী ১২ জুন বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।