ও পদ্মার ঢেউ রে

স্থপতি ও নগর-পরিকল্পনাবিদ কাজী খালিদ আশরাফ সম্প্রতি দ্য গ্রেট পদ্মা: দ্য এপিক রিভার দ্যাট মেড দ্য বেঙ্গল ডেলটা নামে একটি সুবৃহৎ বই সম্পাদনা করেছেন। বইটির বিষয় পদ্মা নদী কীভাবে এর সংলগ্ন বিস্তৃত অঞ্চলের ভূগোল ও ইতিহাসকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে, কীভাবে এর চারপাশের মানুষের জীবন-জীবিকা ও সংস্কৃতির নিয়ামক হয়ে উঠেছে। ওআরও এডিশনস ও বেঙ্গল ইনস্টিটিউট প্রকাশিত বইটি এই লেখার বিষয়বস্তু।

দ্য গ্রেট পদ্মা: দ্য এপিক রিভার দ্যাট মেড দ্য বেঙ্গল ডেলটা, বাংলায় যদি বলি মহীয়সী পদ্মা: বাংলা বদ্বীপের জননী মহাকাব্যিক নদী—বইয়ের এই নামটিই বাংলাদেশের উৎসে দুর্দান্ত ও মহাকাব্যিক এক যাত্রায় আপনাকে আকৃষ্ট করবে। ‘মহীয়সী’ আর ‘মহাকাব্যিক’ এই দুটি শব্দই এ বইয়ের যথার্থ বর্ণনা। বিপুলায়তন এই বই কাজী খালিদ আশরাফ একাই সম্পাদনা করেছেন। স্থপতি, স্থাপত্য ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে খালিদ সুপরিচিত। জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যুক্ত লেখকদের বিস্তৃত পরিসরের এই কাজে তিনি দারুণভাবে যুক্ত করেছেন।

আমাদের জীবন ও জাতীয় ইতিহাসে নদীর গুরুত্ব ও প্রভাব এই বইয়ে প্রতিফলিত হয়েছে। এটি পদ্মা নদীর ওপর বিস্তৃত পরিসরে লেখা প্রথম বই। পদ্মা এবং একে ঘিরে থাকা ভূমিকে সামনে রেখে অঞ্চলের মানচিত্র নতুন করে আঁকা এ বইয়ের উদ্দেশ্য বলে মনে হয়, যে বদ্বীপটির ঠিক কেন্দ্রে রয়েছে পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশ। খালিদ ভূমিকায় উল্লেখ করেছেন এবং বইটির কিছু নিবন্ধেও দাবি করা হয়েছে যে, গঙ্গার অনন্য বৈশিষ্ট্য ও ঐশী মর্যাদা পদ্মাকে কিছুটা পাদপ্রদীপের আলোর বাইরে নিয়ে যায় এবং গঙ্গার ছায়ায় পড়ে যায়।

পদ্মাকে গঙ্গার উপনদী বলে মনে করার একটি প্রবণতা আছে। সে যা–ই হোক না কেন, গঙ্গা পূর্ববঙ্গে প্রবেশ করে যখন সেটি পদ্মায় রূপান্তরিত হয়, তখন এর নতুন অস্তিত্বটি কেবল এর নামের পরিবর্তনকেই বোঝায় না, বরং তা একটি নতুন আত্মপরিচয়ও লাভ করে। কারণ, এর আবর্তনময় জলরাশি বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সজীব বদ্বীপটি গঠন করেছে।

পদ্মার গতিতে জীবনের ছন্দ

বিশাল এই গ্রন্থকে নিছক বই বললে সত্যিই গতানুগতিক বলে মনে হবে। এই নদী মানুষের জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে, কীভাবে এর ভূগঠন ও ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য মানুষের বেড়ে ওঠাকে রূপ দিয়েছে—তার চিত্র এ বইয়ে নানাভাবে ফুটে উঠেছে। বইটি অতীত থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অনেকগুলো পর্যায়ে ভূচিত্র অঙ্কনের একটি মানচিত্রের মতো কাজ করেছে। এখানকার মাটি ও ভূতত্ত্বের সঙ্গে তা পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দেয়। এ ছাড়া এতে পদ্মা নদীর নিরন্তর পরিবর্তিত গতিপথ এবং ভূমি ও পানির মধ্যকার অস্পষ্ট সীমানা তুলে ধরেছে। এমনকি আমার মতো সাধারণ পাঠকের জন্যও ভূতাত্ত্বিক ও ভৌগোলিক দিকগুলো সুন্দরভাবে এতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

বইয়ের বিভিন্ন অংশে জুড়ে দেওয়া মানচিত্রগুলো চমৎকার একটি ভূমিকা রেখেছে, পাঠ্যবস্তুকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে। প্রকৃতপক্ষে আকারের কারণে বইটিকে কখনো কখনো মানচিত্র ও ছবির সমবায়ে কফিটেবিল বইয়ের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। মানচিত্র ও ছবিগুলোর অবদানের কারণে বইটির আকার একটি ন্যায্যতাও পেয়েছে। নদী ও পরিবেশের ভূপ্রকৃতির চিত্র তুলে ধরার মাধ্যমে বইটি নদী ছাপিয়ে গভীরভাবে এর তীরবর্তী মানুষের জীবনযাপনের ছবি হাজির করেছে।

দ্য গ্রেট পদ্মা: দ্য এপিক রিভার দ্যাট মেড দ্য বেঙ্গল ডেলটা
সম্পাদনা: কাজী খালিদ আশরাফ

ভূমি ও নদীতটের ভৌগোলিক পরিস্থিতিকে বইটিতে ‘পদ্মা প্রসেস’ (পদ্মার প্রক্রিয়া) বা ‘পদ্মা ডাইনামিক’ (পদ্মার গতিময়তা) নামে নানাভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই গতিশীল নদী কীভাবে শিল্পকলা, সংগীত ও গান; উপন্যাস ও কবিতা; আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে রান্নাবান্নার ধরন ও অভিরুচির মতো সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তিকে প্রতিফলিত করেছে, সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে ও ভাবতে এর বিবরণ পাঠককে টেনে নেয়। মানচিত্রের মতো পূর্ণ পরিসরে চিত্রকলা ও আলোকচিত্রও নতুনভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। পাঠক হিসেবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখেছি। ঢাকা শহরের কোলাহলের মধ্যেও শিল্পের এসব উপাদান বিপুল জলরাশির সঙ্গে সম্পৃক্ত এক অপার্থিব সত্তা সম্পর্কে আমাদের নানা ভাবনায় ভাসিয়ে নিয়ে যায়।

আমার অতিপ্রিয় একটি শিল্পকর্ম—অতুল বসুর ১৯৩০ সালে আঁকা ‘পদ্মার বুকে নৌকা’ বইটিতে স্থান পেয়েছে। এটি এমন একটি উপলব্ধি দিচ্ছে যে, এসব চিত্রকর্ম ও আলোকচিত্র কেবল পদ্মার প্রশান্তির কথাই নয়, এর গতিময়তার কথাও বলে। পদ্মা যাঁদের জীবিকার উৎস, তেমন অসংখ্য জেলে, মাঝি, কৃষক ও কারিগরদের কাছে এই নদী তাদের দেহের পাশাপাশি আত্মারও খোরাক জোগায়।

এসব ছবি ও চিত্রকর্মে পদ্মার লালন–পালনের প্রকৃতি যেমন ধরা আছে, তেমনই আছে এর ধ্বংসের অস্পষ্ট প্রকৃতি। পানিতে নৌকা চলার শান্ত দৃশ্যের সঙ্গে রয়েছে তীরে ধসে পড়া ভবনের ছবি। নদীতে নতুন করে জেগে ওঠা চরগুলোকে নিরন্তর পরিবর্তনশীল জলরাশিতে বিন্দুর মতো দেখায়। নদীর বিশাল প্রেক্ষাপটে নৌকায় একাকী মাঝির ছবি এক অবিনশ্বর চিত্র, বাঙালিরা যা হৃদয়ে বহন করে চলে। প্রকৃতির মধ্যে এই একাকিত্বের ছবি অনেকটাই যেন অসংখ্য মানুষের ভিড়ে আমাদের গভীর নির্জনতার চিত্র।

নদী যখন আত্মপরিচয়

বইয়ের ভূমিকায় বলা হয়েছে, পদ্মা নদী বাংলার পরিচয় রচনা করে দিয়েছে। বাংলার বুক চিরে বয়ে গেছে এই নদী। এই নদীর তীরে সঙ্গী হারিয়েছিলেন চর্যাপদের কবি ভুসুকপা। কবি ও চিত্রশিল্পীরা এবং বইটির শোভন মানচিত্রগুলো আমাদের বাংলা বদ্বীপের উৎসে নিয়ে যায়।

‘পদ্মার প্রক্রিয়া’ বা ‘পদ্মার গতিময়তা’ বোঝানোর জন্য বইটিতে একগুচ্ছ প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ‘পদ্মার প্রক্রিয়া’ শব্দটি ইতিহাসবিদ ইফতেখার ইকবালের দেওয়া। বিশ্বের এই অংশে পদ্মা নদীকে ঘিরে যাদের বেড়ে ওঠা, তাদের জীবনে এর প্রভাব আমাদের নজরে আনার জন্য তিনি ভূগোল, ইতিহাস ও কবিতাকে একটি সুতায় গেঁথেছেন। তিনি আমাদের গোয়ালন্দ নদীবন্দরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন, ইতিহাসবিদ তারিক আলীর বর্ণনায় যা অনুপমভাবে ‘পরিব্রাজক বন্দর’ হিসেবে অভিধা পেয়েছে। কারণ, পদ্মার বদলে যাওয়া জলসীমার সঙ্গে সঙ্গে বন্দরটির অবস্থানও পরিবর্তন হয়ে এসেছে।

তারিক আলী দেখিয়েছেন, নদীর ‘ঔপনিবেশিক বিজয়’ কেন কখনোই পুরোপুরি সম্ভব হয় না। অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক শাসনের কাজে নদীকে নিয়ন্ত্রণ করা একটি চলমান চর্চা। তারিক আলী আমাদের রোমাঞ্চকর নদীভ্রমণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। খাদ্য–ইতিহাসবিদ পৃথা সেনের মুখরোচক প্রবন্ধটি আপনাকে পাতলা ঝোলের গরম মুরগির তরকারির স্বাদ নিতে উদ্‌গ্রীব করে তুলবে।

কিছু লেখায় সাহিত্য ও শৈল্পিক বর্ণনা ফুটে উঠেছে। লেখক ও সমালোচক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম চিত্রকলা ও আলোকচিত্রের সঙ্গে উপন্যাস ও কবিতার চমৎকার মিশেল ঘটিয়েছেন। তিনি আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন এমন একজন চিত্রগ্রাহকের সঙ্গে, যাঁর দেখা সচরাচর মেলে না। আনসারউদ্দিন খান পাঠান একজন পুলিশ কর্মকর্তা। সারদা পুলিশ একাডেমিতে দায়িত্ব পালনের সময় তাঁর তোলা ছবিগুলো এখানে স্থান পেয়েছে। সহজে নজরে পড়ে না, এমন জায়গাগুলোতে তাঁর ‘অতীন্দ্রিয় ও জাদুকরি শোভা’র ছটা ছড়িয়ে রয়েছে, যা প্রত্যেককে স্পর্শ করবে।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস পদ্মা নদীর মাঝির ওপর নির্ভর করে তৈরি চলচ্চিত্রগুলো নিয়ে নৃবিজ্ঞানী নাভিদা খানের চমৎকার বিশ্লেষণ আমাদের পদ্মা নদীকে ঘিরে থাকা মানুষের জীবনধারার নানা দিক থেকে উপস্থাপন করে। প্রথাগত চলচ্চিত্রপাঠের বাইরে গিয়ে তিনি মুখ ও হাতের কাছ থেকে নেওয়া শটগুলো সামনে নিয়ে এসেছেন। তাঁর লেখাটিও এই মানুষগুলোকে সাহিত্যিক বয়ানের মিশেলে পাঠ করার পরিবর্তে বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে, যেমনটা দেখা গিয়েছিল এ জে কারদারের জাগো হুয়া সাভেরা (১৯৫৯) এবং গৌতম ঘোষের পদ্মা নদীর মাঝির (২০১৬) স্বতন্ত্র চলচ্চিত্র–উপস্থাপনায়।

নিবন্ধটি একপর্যায়ে আমাদের নদীটির ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে আসে। কারণ, এই লেখায় পদ্মা সেতুর নির্মাণ দেশের জন্য কী ফল নিয়ে আসতে পারে, সেটি তুলে ধরেছে। প্রবন্ধের এসব সংকলন পদ্মা সেতুর দুর্দান্ত পাঠের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। স্থপতি আদনান মোর্শেদ প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের দৃষ্টিকোণ থেকে পদ্মা সেতুর ভাষ্য রচনা করেছেন। সেই উৎকর্ষের ওপর ভিত্তি করে নতুন এক আইকনিক সেতু, যা নতুন পাঠের দাবি রাখে।

নদী ও নারী

সূর্যাস্তের সময় পদ্মার দৃশ্য। সন্ধ্যা নামার আগেই কি বাড়ি ফেরার তাগাদা জেলেদের?
ছবি: আনসার উদ্দিন খান পাঠান

মোহনার দিকে ছুটে চলা এবং বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়ে বঙ্গীয় বদ্বীপ গঠন করা এই নদীটি যে মহাকাব্যিক গ্রন্থে চিত্রিত হয়েছে, তার মধ্যে কী নেই? আমি অনুভব করেছি, নৌকা, বাড়ি, খাবার, সেতু, কবিতা, গান আর উপন্যাসের ওপর বহুমুখী জোর থাকা সত্ত্বেও বইটিতে এর বাসিন্দাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন অন্তরালে চলে গেছে। কাজী খালিদ আশরাফ পদ্মাকে গঙ্গার প্রকৃত বিস্তার এবং ভারতবর্ষের ভূগোল, ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে এই পূর্ব সীমান্তকেন্দ্রিক বয়ান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার রাজনৈতিক একটি দায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে শুরু করেছেন। সেটিকে বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, পদ্মার সন্নিহিত মানব চরিত্রগুলো আরও জোরালোভাবে সামনে আসতে পারত।

আমি বিশেষভাবে ভাবছি নারীদের কথা। স্টিমারযাত্রার স্মৃতিতে তারিক আলী ঔপনিবেশিক বা ‘ভদ্র’ সমাজের স্মৃতিকাতরতার খানিক আভাস দিয়েছেন। তবু নিচের ডেকের যাত্রীদের মুখের সরাসরি বর্ণনা শোনার আকুলতা থেকে যায়। তিনি একটি মেয়ের জাহাজ থেকে লাফ দিয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা বলেছেন। তিনি প্রশ্নাকুল হয়ে ভাবছেন, মেয়েটি কি আত্মহত্যা করেছিল; নাকি তাকে খুন করা হয়েছিল, অদৃশ্য কোনো হাত তাকে ধাক্কা দিয়েছিল?

কিছু যোগসূত্রের অভাব এ বইয়ে আছে, যা পূরণ করা উচিত ছিল। যেমন ইফতেখার ইকবাল দৌলতদিয়া যৌনপল্লির বিষয় কিছুটা এড়িয়ে গেছেন; অনেকটা চাহিদা ও জোগানের অনুমানের ওপর বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছেন। সেখানকার এক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে সম্প্রতি আমি জানতে পেরেছি, চাহিদা এখন নিম্নমুখী। কারণ, আগের মতো অত বেশি ট্রাক আর এই পথে চলছে না কিংবা পারাপারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেগুলোকে অপেক্ষাও করতে হচ্ছে না।

যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি যৌনকর্মীদের উপার্জনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। উল্টো দিকে ‘ভাসমান’ যৌনকর্মীদের চাহিদা আরও বেড়েছে। দৌলতদিয়া যৌনপল্লির ওপর একটি নিবন্ধ লিঙ্গ ও যৌনতা, শ্রেণি ও শোষণ, পরিবর্তন ও রূপান্তরের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসতে পারত।

সবশেষে বিশাল এই গ্রন্থের সম্পাদককে আমি অভিনন্দন জানাতে চাই। মানচিত্র, ছবি ও নিবন্ধগুলোর সমন্বয় হয়েছে অপূর্ব। জ্ঞানের নানা শাখা ও ধারার লেখক ও পেশার লোকদের সম্পৃক্ততা দুর্দান্ত একটি বইয়ের প্রকাশকে সম্ভব করেছে। সমাবেশটি দারুণ। আমার আরেকটি পরামর্শ আছে। সুন্দর এই প্রকাশনা যাঁদের সংগ্রহ করার আর্থিক সামর্থ্য নেই, সেই পাঠকদের জন্য পরামর্শটি অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। আমি ভাবছিলাম, নিবন্ধগুলোকে একটি সম্পাদিত খণ্ডে রাখা যায় কি না। তাহলে বহু ধরনের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য তা অত্যন্ত মূল্যবান হতে পারে। এতে পদ্মার কেন্দ্রিকতার বার্তা বিস্তৃত পরিসরে পাঠকের মধ্যে ছড়াতে পারে।

  • ড. ফিরদৌস আজিম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও মানববিদ্যা বিভাগের প্রধান

  • ভাষান্তর: মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম