ময়নাতদন্তের জন্য ওসমান হাদির মরদেহ নেওয়া হলো সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হবে।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ওসমান হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সকাল ১০টা থেকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গের সামনে অবস্থান করে দেখা যায়, সেখানে আনসার, পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
ওসমান হাদিকে শেষ বিদায় দিতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের আশপাশে জড়ো হয়েছেন অনেক মানুষ। তাঁরা ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নেবেন।
গাজীপুরের টঙ্গী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফাহাদ হোসাইন বলেন, ‘হাদি এত দিন আমার ভেতরে বেঁচে ছিল। তার শিক্ষা, দীক্ষা, সততা ও পারিবারিক সুনাম—সবই ছিল। এত দিন মনে হতো, আমি যে কথাগুলো বলতে চাই, কিন্তু বলতে পারছিলাম না, হাদি তাই বলত। কিন্তু এখন আর সে বলছে না। সবচেয়ে খারাপ লাগে এটাই।’
শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ গতকাল শুক্রবার সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়েছে। আজ বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে শরিফ ওসমান হাদি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।