দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার পলক ও শাফি মুদ্দাসির

পলক ও শাফি মুদ্দাসির খানছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে শাফি মুদ্দাসির খানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক ও শাফি মুদ্দাসির খানের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে। সেই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

পিপি মাহমুদ আরও বলেন, দুদকের মামলায় জুনাইদ আহ্‌মেদের পক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন নাকচ করেছেন।

জুনাইদ আহমেদ গত ১৫ আগস্ট ও শাফি মুদ্দাসির খান গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন। তাঁরা বর্তমানে কারাগারে আছেন।

গত ১২ ডিসেম্বর জুনাইদ আহ্‌মেদ ও তাঁর স্ত্রী আরিফা জেসমিনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, জুনাইদ আহ্‌মেদের ২৪টি ব্যাংক হিসাবে ঘুষ, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ৩২ কোটি ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৪ টাকা জমা হয়। এর মধ্যে ২৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৫ টাকা তুলে নেওয়া হয়। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই টাকা লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৯ অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং তাঁর স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান ও ছেলে শাফি মুদ্দাসির খানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় বলা হয়, দুদক তাঁদের বিরুদ্ধে ৬০ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৫৬ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের নামে ৩৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৯ টাকা লেনদেনেরও তথ্য পেয়েছে।

আরও পড়ুন