আগামী বছরের কোন কোন দিন ছুটি, জানাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর এবার আগামী বছরের (২০২৪) কোন কোন দিন সরকারি ছুটি থাকবে সেসব তথ্য বিস্তারিতভাবে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ছুটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

এবার মোট ২২টি সরকারি ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি এবং আট দিন ছুটি হবে নির্বাহী আদেশে। এর মধ্যে কয়েকটি ছুটি চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করবে।

১৪ দিন সাধারণ ছুটির দিনগুলো হলো, ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ৫ এপ্রিল (শুক্রবার) জুমাতুল বিদা, ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতর, ১ মে মে দিবস, ২২ মে বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা), ১৭ জুন ঈদুল আজহা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ১৬ সেপ্টেম্বর ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.),১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন (বড়দিন)। এই ১৪ দিনের মধ্যে একদিন শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে।

আর নির্বাহী আদেশে আট দিন ছুটির মধ্যে ২৬ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত, ৭ এপ্রিল শবে কদর, ১০ এবং ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) ঈদুল ফিতরের আগের দিন ও পরের দুই দিন, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১৬ এবং ১৮ জুন ঈদুল আজহার আগের দিন ও পরের দিন এবং ১৭ জুলাই আশুরার দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। এখানে একদিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার।

এ ছাড়া বিভিন্ন ধর্মের জন্য নির্ধারিত কয়েক দিন ঐচ্ছিক ছুটির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। যেমন মুসলমানদের জন্য ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার পরের দ্বিতীয় দিনসহ মোট পাঁচ দিন। হিন্দুদের জন্য নয় দিন, খ্রিষ্টানদের জন্য আট দিন, বৌদ্ধ ধর্মের জন্য পাঁচ দিন।

আরও পড়ুন

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও এর বাইরে কর্মরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য দুই দিন ঐচ্ছিক ছুটির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

অবশ্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, একজন কর্মচারীকে তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। প্রত্যেক কর্মচারীকে বছরের শুরুতে নিজ ধর্ম অনুযায়ী নির্ধারিত তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি তাদের নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করেছে, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইন-কানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এই ছুটি ঘোষণা করবে।