মহেশখালীতে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় মাইকিং

ভারী বর্ষণে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় আছেন কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বাসিন্দারা। গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। এদিকে গতকাল রাতে ভারী বর্ষণের প্রভাবে বসতবাড়ির কাঁচা দেয়াল ধসে পড়ে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মাইজপাড়ায় শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন আহত হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার থেকে টানা ভারী বৃষ্টিতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে একটি পৌরসভার ও সাতটি ইউনিয়নের নিচু এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। এ ছাড়া শাপলাপুর, হোয়ানক, ছোট মহেশখালী ও কালারমারছড়া ইউনিয়নে মাইকিং করে পাহাড়ের পাদদেশের ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের সরে যেতে বরা হয়েছে। কিন্তু এতে লোকজনের কোনো সাড়া মিলছে না।

আজ মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কালারমারছড়া, হোয়ানক, বড় মহেশখালী, ছোট মহেশখালী ও শাপলাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ে ঘর তুলে বসবাস করছেন কয়েক হাজার মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হলেও তা মানছে না কেউ।

কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলি পাহাড়ি এলাকায় বাস করেন মোহাম্মদ হোসাইন ও নুর উদ্দিন। তাঁরা বলেন, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ধলঘাটে তাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। এর পর থেকে তাঁরা মহেশখালীর পাহাড়ে পরিবার–পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছেন। ভারী বর্ষণ নিয়ে তাঁদের কোনো আতঙ্ক নেই।

স্থানীয় শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক চৌধুরী বলেন, কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড়ধসের আশঙ্কায় এলাকায় মাইকিং করার পাশাপাশি পাহাড়ের ওপরে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে বসতবাড়ির মাটির দেয়াল ধসে পড়ে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মাইজপাড়ায় শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের আজ সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীকি মারমা প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে মাটির দেয়াল ধসে পড়ে একই পরিবারের আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা থাকায় নিরাপদ স্থানে সরে যেতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে হোয়ানক, ছোট মহেশখালী ও কালারমারছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের।