এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে? অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে গেলে অবশ্য অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের নাম দেখা যাচ্ছে। তবে তাঁর চাকরির মেয়াদ গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে।

ফলে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদটি খালি পড়ে আছে। আবার অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের নাম সরিয়েও নেওয়া হচ্ছে না।

তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম কি আবার মহাপরিচালকের পদে বসতে যাচ্ছেন? এর পরের প্রশ্ন, তাঁর মেয়াদ কতবার বাড়বে? কেন বাড়বে? প্রশ্ন আছে আরও।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুজন কর্মকর্তা গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, এখনকার সময়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশে করোনাভাইরাসের নতুন উপধরন শনাক্ত হয়েছে। এ অবস্থায় দ্রুত অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আছে। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। মহাপরিচালকের অনুপস্থিতিতে এখন অনেক কাজই আটকে আছে।

অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম
ছবি: সংগৃহীত

গত আগস্ট থেকে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা অফিস করছেন না। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত মাসে তিনি দেশে ফিরেছেন। তবে এখনো কাজে যোগ দেননি।

এদিকে, মহাপরিচালকের পদ খালি থাকায় অপর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আহমেদুল কবীরের ওপর কাজের চাপ বেড়েছে।

শিগগির কোনো নতুন মহাপরিচালক আসবেন, না কি আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আবার ফিরে আসবেন, তা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ স্বাস্থ্য বিষয়ে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে কৌতুহল বাড়ছে।

বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে।

মীরজাদী সেব্রিনা
ফাইল ছবি

মন্ত্রণালয়ের কেউ কেউ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে আবার মহাপরিচালক পদে ফিরিয়ে আনার পক্ষে। অর্থাৎ, তাঁরা তাঁকে আবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পক্ষে।

অন্যদিকে, বিএমএ চাইছে, নতুন যেকোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হোক।

আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (স্বাস্থ্য) দশম ব্যাচের কর্মকর্তা। এই শল্যচিকিৎসক ২০২০ সালের ২৬ জুলাই অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদে বসেন। তাঁর স্বাভাবিক চাকরির মেয়াদ শেষ হয় একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর। এরপর তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টেনে নেওয়া হয়। এই দফার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে।

আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের আগে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন আবুল কালাম আজাদ। তাঁর চাকরির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছিল। দুর্নীতির অপবাদ নিয়ে আবুল কালাম আজাদ ২০২০ সালের ২৩ জুলাই পদ ছাড়েন।

আরও পড়ুন
আহমেদুল কবীর
ছবি: সংগৃহীত

আবুল কালাম আজাদ ও আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে স্বাস্থ্যের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ থেকে বঞ্চিত হয়ে অবসরে চলে গেছেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘জ্যেষ্ঠ একাধিক কর্মকর্তা আছেন। তাঁদের মধ্য থেকে কাউকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক করা হলে স্বাস্থ্যখাতে শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। আমরা এটাই চাই।’