রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৪০-৪৫ হাজার ইভিএম বিএমটিএফে: প্রকল্প পরিচালক

ইভিএম
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেড় লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম রয়েছে। তার মধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার ইভিএম মাঠপর্যায় থেকে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) নিয়ে আসা হয়েছে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের জন্য। ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কী পরিমাণ ইভিএম ব্যবহৃত হতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইভিএম নিয়ে এক বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান।

এই প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘আমাদের এখন দেড় লাখ ইভিএম আছে। তার মধ্যে ৮০ হাজারের মতো ইভিএম মাঠপর্যায়ে ছিল। মাঠপর্যায়ে ইভিএম গিয়েছিল দুভাবে। কিছু প্লাস্টিক হার্ড বক্সে, অর্ধেক গিয়েছিল কাগজের প্যাকেটে। কাগজের প্যাকেটের ইভিএমগুলো আমরা নিয়ে এসেছি। সেগুলোকেই আমরা মূলত বিএমটিএফে নিয়ে এসেছি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত হয়ে গেলে ব্যবহার উপযোগী হয়ে যাবে। আর হার্ড বক্সে যেগুলো আছে, সেগুলো যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো নির্বাচনে ব্যবহার করতে পারব।’

এগুলো মেরামত করতে কত খরচ হতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না বলেও জানান প্রকল্প পরিচালক।

কাগজের প্যাকেটে আর ইভিএম সংরক্ষণ করা হবে না জানিয়ে সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, ‘ইভিএমগুলো মেরামতের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কতগুলো প্রস্তুত করা যায়, সে প্রচেষ্টা চলছে। এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না, নির্বাচনে কতগুলো ইভিএম ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভব। তবে সর্বোচ্চসংখ্যক ইভিএম ব্যবহার করার চেষ্টা করব।’ কতসংখ্যক ইভিএম ব্যবহার করা যাবে, তা মার্চের দিকে জানা যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

বাকি ৭০ হাজার ইভিএম বিএমটিএফে আছে এবং সেগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে জানিয়ে সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, ‘যেখানে প্রয়োজন হচ্ছে, সেখানে পাঠাচ্ছি। রংপুর সিটি করপোরেশন ও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনেও এখান থেকে ইভিএম পাঠানো হয়েছে।’

৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের চেষ্টা থাকবে। তবে কোনো আসনে ৩ লাখ ভোটার থাকে, কোনোটায় ১৬ লাখ। ফলে ঠিক কতগুলো আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে, তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় বলেও জানান এই প্রকল্প পরিচালক।