দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশের অবনতি

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)
ফাইল ছবি

দুর্নীতির মাত্রা কোন দেশে কেমন, সে সম্পর্কে ধারণা দিতে প্রতিবছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে জার্মানির বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল। বিদায়ী ২০২৩ সালের জন্য দুর্নীতির ধারণাসূচক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তারা। সেই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দুর্নীতির মাত্রা বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। এর আগে ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২তম।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, যেসব দেশে গণতন্ত্র নেই এবং যেসব দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন রয়েছে, সেসব দেশের চেয়েও বাংলাদেশে দুর্নীতির মাত্রা বেশি।

গতকাল মঙ্গলবার জার্মানির বার্লিন থেকে দুর্নীতির ধারণাসূচক (সিপিআই) প্রতিবেদন-২০২৩ প্রকাশ করেছে টিআই। তাদের সঙ্গে একযোগে বাংলাদেশেও এই প্রতিবেদন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ উপলক্ষে গতকাল দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

যখন দুর্নীতি, মানবাধিকার নিয়ে কথা বলি, তখন তারা (সরকার) ষড়যন্ত্রের কথা বলে। সরকারের লোকজন এমনভাবে কথা বলেন, সবাই তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
সুলতানা কামাল, চেয়ারপারসন, টিআইবি

দুর্নীতির ধারণাসূচকে দুর্নীতির সংজ্ঞা হচ্ছে, ব্যক্তিগত সুবিধা বা লাভের জন্য ‘সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার’। আর ধারণাসূচক অনুযায়ী, গত ১৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে দুর্নীতির মাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২৩ সালে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সূচকে দুর্নীতির ধারণার মাত্রাকে ০ থেকে ১০০-এর স্কেলে নির্ধারণ করা হয়। ‘০’ স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ‘১০০’ স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বাধিক সুশাসিত বলে ধারণা করা হয়। টিআই বলেছে, ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৪, যা গতবারের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম। গত বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৫।

টিআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে দুর্নীতির হার বেশি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভুটানের স্কোর ৬৮, ভারত ও মালদ্বীপের ৩৯, নেপালের ৩৫, শ্রীলঙ্কার ৩৪, পাকিস্তানের ২৯ ও আফগানিস্তানের ২০।

সূচকে ১০০ স্কোরের মধ্যে ৯০ পেয়ে সবচেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে তালিকার শীর্ষে আছে ডেনমার্ক। ৮৭ পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ফিনল্যান্ড। তৃতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ড, চতুর্থ স্থানে নরওয়ে। যেসব দেশে দুর্নীতি কম সেই তালিকার পঞ্চম স্থানে সিঙ্গাপুর। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে যৌথভাবে সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড। অন্যদিকে দুর্নীতির মাত্রা সবচেয়ে বেশি সোমালিয়ায়। তাদের স্কোর মাত্র ১১। দ্বিতীয় স্থানে আছে সাউথ সুদান, সিরিয়া ও ভেনেজুয়েলা।

টিআই বলেছে, তালিকায় ১০০ স্কোরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর প্রাপ্তির ক্রমানুসারে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৪৯তম। আগের বছর ১৪৭তম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।

ধারণাসূচক প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, ‘যখন দুর্নীতি, মানবাধিকার নিয়ে কথা বলি, তখন তারা (সরকার) ষড়যন্ত্রের কথা বলে। সরকারের লোকজন এমনভাবে কথা বলেন, সবাই তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। একটা কথা বললে সেটাকে স্বীকৃতি দিয়ে দুর্নীতিকে কমানোর মানসিকতা নিয়ে তাঁরা কাজ করেন না।’

সুলতানা কামাল বলেন, ‘সরকার তো অঙ্গীকার করেছে দুর্নীতি কমিয়ে আনবে। তারা কি শুধু বলার জন্য বলে, নাকি সত্যিকার অর্থেই বলে। আমরা আশা করি, তারা যা বলে সেটা পালন করবে। কিন্তু তাদের বিভিন্ন কথাবার্তা শুনলে হতাশ না হয়ে উপায় থাকে না। বিগত অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে সন্দেহ থেকেই যায়, তারা নিজেদের কথা রাখবে কি না।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুর্নীতির ধারণাসূচক নির্ণয়ে টিআইবি কোনো ভূমিকা পালন করে না। টিআইবির গবেষণা থেকে প্রাপ্ত কোনো তথ্য বা বিশ্লেষণও সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয় না। ধারাসূচক নির্ণয়ের জন্য তথ্যসূত্র হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য মোট ১৩টি জরিপ ব্যবহার করা হয়েছে। সূচকে অন্তর্ভুক্তির জন্য সর্বনিম্ন তিনটি আন্তর্জাতিক তুলনাযোগ্য জরিপ থাকতে হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বরাবরের মতো ৮টি জরিপ ব্যবহৃত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি পলিসি অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল অ্যাসেসমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এক্সিকিউটিভ ওপিনিয়ন সার্ভে।

১৬ বছরের মধ্যে পরিস্থিতি বেশি খারাপ

২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের দুর্নীতির চিত্রটি ধারণাসূচকে কেমন, টিআই তাদের প্রতিবেদনে সেটি তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর টিআইয়ের তালিকার শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। অর্থাৎ ওই সময়ে দুর্নীতির মাত্রা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ছিল বাংলাদেশে। ওই পাঁচ বছরের মধ্যে ২০০১ সালে দেশে তিনটি সরকার ক্ষমতায় ছিল। বছরের শুরুর দিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ, মাঝামাঝি সময়ে প্রায় তিন মাস ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল বিএনপি।

দুর্নীতি বেশি এমন দেশের তালিকায় ২০০৬ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল তৃতীয়, পরের বছর সপ্তম। ২০০৮ সালে দশম অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থান ঘুরেফিরে ১২ থেকে ১৭–এর মধ্যে ছিল। এবার তা ১০-এ নেমে এসেছে। অর্থাৎ ধারণাসূচক অনুযায়ী, দেশে দুর্নীতি আগের চেয়ে বেড়েছে।

দুর্নীতির ধারণাসূচকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাজনক। এবার বাংলাদেশের স্কোর ও অবস্থানের অবনমন প্রমাণ করে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবিক অর্থে কার্যকর প্রয়োগ হয়নি। আইনের প্রয়োগ ও কাঠামোগত দুর্বলতায় বাংলাদেশের আরও অবনতি হয়েছে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারি খাতে দুর্নীতির ব্যাপকতা বেড়েছে। বিশেষ করে সরকারি ক্রয়, প্রকল্প চুক্তি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশি দুর্নীতি দেখা গেছে। অর্থ পাচারের বিষয়ে তথ্য প্রকাশিত হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব বেড়েছে। ঘুষ লেনদেন ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের ঘটনা বেড়েছে। ব্যক্তিগত স্বার্থে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, আর্থিকসহ বিভিন্নভাবে অর্জিত ক্ষমতাকে নিজের সম্পদ বিকাশের লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

‘অপবাদ দেওয়ার দাবি’

দুর্নীতির ধারণাসূচকের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দুর্নীতি, করাপশন ইজ ওয়ে অব লাইফ অ্যাক্রোস দ্য ওয়ার্ল্ড নাও। এটা বাংলাদেশের ব্যাপার নয়, সারা বিশ্বেই আছে কম-বেশি। কিন্তু যেভাবে অপবাদটা বাংলাদেশ নিয়ে দেওয়া হয়, এটা মোটেও সত্য নয়।’

গতকাল দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি টিআইবিকে বিএনপির ‘দালাল’ বলেও মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, বিএনপি যা বলে, টিআইবিও তা বলে। এসব প্রতিষ্ঠানের কিছু রাজনৈতিক ইন্টারেস্ট (স্বার্থ) আছে। বিশ্বজুড়ে ক্ষমতার যে দ্বন্দ্ব, সেখানে অবস্থানগতভাবে কোনো কোনো জোট বা দেশের স্বার্থ সংরক্ষণের পাহারাদার এসব প্রতিষ্ঠান। ওখানে কারও স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এসব কমেন্ট (মন্তব্য) করা হয়। এসব অপবাদ দেওয়া হয়। এটা অতীতেও দেওয়া হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এগুলোর পরোয়া করি না।’

তবে দুর্নীতির ধারণাসূচকের প্রতিবেদনকে সরকারি মহলের ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে টিআইবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হওয়ার সুযোগ নেই। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গবেষণা। দুর্নীতির তুলনামূলক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সূচক। যে দল যখন ক্ষমতায় থাকে, তাদের কাছে এই প্রতিবেদনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয়। একই দল যখন ক্ষমতার বাইরে থাকে, তখন তারাই টিআইয়ের প্রতিবেদনকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করে। অবস্থান পরিবর্তনের কারণে তাদের বক্তব্যের পরিবর্তন ঘটে।

সংবাদ সম্মেলনে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুদক প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার কার্যকর প্রয়োগ করতে পারেনি। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে দুদক নিজেদের সক্ষমতার ব্যবহার করতে পারেনি। ‘হাত দিলে হাত পুড়ে যাবে’—এমন ধারণা থেকেও দুদক অনেক সময় সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারেনি।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যারা ঋণখেলাপি, তারাই দেশে ঋণ খেলাপের নীতিমালা কী হবে, তা নির্ধারণ করেছে। বৈশ্বিক মানদণ্ডে অর্থ পাচারের দিক থেকে শীর্ষ দিকে অবস্থান করছে। দেশে উন্নয়ন হয়েছে, এটা স্বীকার করতে হবে। কিন্তু দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে আরও উন্নতি হতো এবং জনগণের জন্য অর্থবহ হতো। উন্নয়নের সুফল জনগণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা দুর্নীতি। তিনি মনে করেন, সাধারণ মানুষ বলবে, টিআইয়ের এই প্রতিবেদন সঠিক।

টিআইবির সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) শেখ মনজুর-ই-আলম, সমন্বয়ক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

‘দুর্নীতি ও অবিচার’

গত ১২ বছরের ধারাবাহিকতায় দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, আইসল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশেরও স্কোর কমে গেছে। এর অর্থ অনেক উন্নত দেশেও দুর্নীতির মাত্রা বেড়েছে।

দুর্নীতির ধারণাসূচকে ১০০ স্কোরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র পেয়েছে ৬৯, চীন ৪২ ও রাশিয়া ২৬।

উন্নত দেশেও দুর্নীতির মাত্রা বৃদ্ধির বিষয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের অবনমন হচ্ছে, স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা কমছে। বিচারব্যবস্থা ক্রমাগত দুর্বল হচ্ছে, জবাবদিহির সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে। দুর্নীতির গভীরতা বাড়ছে এবং যারা দুর্নীতি করছে, তারা বিচারহীনতা ভোগ করছে। ঘুষ লেনদেন ও রাজনৈতিক প্রভাব বিচারপ্রক্রিয়াকে যখন নিয়ন্ত্রণ করে, তখন বিচার হয় ম্যানুপুলেটেড (প্রভাবিত করা), কোনো কোনো ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচার হয়।

দুর্নীতির ধারণাসূচকের এবারের প্রতিপাদ্য ‘দুর্নীতি ও অবিচার’। এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি ও অবিচার পরস্পর সম্পর্কযুক্ত; দুর্নীতি অন্যায়ের জন্ম দেয় এবং অন্যায় দুর্নীতির দুষ্টচক্র তৈরি করে।