বিখ্যাত ব্র্যান্ডের মিষ্টির কারখানায় ঢুকে চমকে উঠলেন ম্যাজিস্ট্রেট

চট্টগ্রাম নগরের একটি মিষ্টির দোকানের মিষ্টিতে ভাসছে মরা মাছি ও তেলাপোকা
ফাইল ছবি

নোংরা পরিবেশে মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় পণ্য তৈরি করা হচ্ছিল সিজল নামের মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কারখানায়। যত্রতত্র উড়ছিল মাছি। ব্যবহার করা হচ্ছিল পাম তেল। অথচ বিভিন্ন পণ্যের প্যাকেটের গায়ে লাগানো দেশে নিরাপদ খাদ্য ও পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিএসটিআইয়ের সিল।

মিষ্টি, দই, বিস্কুট ও পাউরুটির জন্য বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করা হলেও প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানটির এ-সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র নেই। সয়াবিন তেলের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছিল পাম তেল ও ডালডা।

এসব অপরাধে নামকরা প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ এলাকার জালালাবাদ বিসিক শিল্পনগরে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়। ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

প্রতীক দত্ত জানান, ‘বেকারি আইটেম ও মিষ্টির জন্য চট্টগ্রামের বিখ্যাত ব্র্যান্ড সিজলের ফ্যাক্টরিতে ঢুকে চমকে যাই। তাদের প্যাকেটে লেখা আছে আগ্রাবাদের ঠিকানা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে অক্সিজেন এলাকায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিষ্টি, দই, বিস্কুট ও পাউরুটির জন্য বিএসটিআইয়ের লোগো ব্যবহার করা হলেও প্রকৃতপক্ষে তাদের এ-সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র নেই। সয়াবিন তেলের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছিল পাম তেল ও ডালডা।’

ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এসব কারণে বিএসটিআই আইন-২০১৮ অনুযায়ী, ১ লাখ ও ময়লা পরিবেশে খাবার তৈরির দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় সিজলকে। একই এলাকায় অবস্থিত মধুবন মিষ্টি বিপণিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।